Logo
শিরোনাম

৯৩ বয়সে বিয়ে করলেন অ্যাপোলো ১১’র নভোচারী বাজ অলড্রিন

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৯৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

চাঁদের বুকে ৯৩ মিনিট হেঁটেছেন এডউইন ইউজিন অলড্রিন ওরফে বাজ অলড্রিন। সূর্যের চারপাশেও ৯৩ বার প্রদক্ষিণ করেছেন তিনি। এ উপলক্ষে দীর্ঘদিনের সঙ্গী ও প্রেমিকা ড. আনকা ফরকে বিয়ে করলেন অ্যাপোলো ১১ মিশনের এ মহাকাশচারী।

১৯৩০ সালের ২০ জানুয়ারি নিউজার্সিতে বাজ অলড্রিনের জন্ম। গতকাল ৯৩তম জন্মদিন উৎযাপন করেছেন তিনি। একইদিনে লস অ্যাঞ্জেলেসে এক ঘরোয়া আয়োজনে বান্ধবী আনকা ফরকে বিয়ের কথা জানিয়ে টুইটারে তিনি লিখেছেন, সদ্যবিবাহিত টিনেজারদের মতো এক্সাইটেড ফিল করছি। নতুন দম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইটার ইউজাররাও লিখেছেন, ফিলিং লাইক ওভার দ্য মুন।

নীল আর্মস্ট্রংয়ের ১৯ মিনিট পর চাঁদে পা রাখেন বাজ অলড্রিন। আক্ষরিক অর্থেই এমন মুনওয়াকার পৃথিবীতে এসেছেন মাত্র ১২ জন। এদের মধ্যে বেঁচে আছেন কেবল চার জন। বাজ অলড্রিন তাদের মধ্যে বয়সে সবার বড়।

৩৯ বছর বয়সে অ্যাপোলো১১ মিশনের অংশ হন বাজ অলড্রিন। সঙ্গী ছিলেন নীল আর্মস্ট্রং ও মাইকেল কলিন্স। ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই তিনজনকে নিয়ে চাঁদের বুকে অবতরণ করে লুনার মডিউল ঈগল। কিছুক্ষণ পর প্রথমে নীল আর্মস্ট্রং, তারপর বাজ অলড্রিন মডিউল থেকে বেরিয়ে চাঁদের বুকে মানুষের পায়ের চিহ্ন এঁকে দেন। কমান্ড মডিউলের পাইলট মাইকেল কলিন্স তখন কিছুটা উপরে শূণ্যে চক্কর কাটছিলেন।

সারা পৃথিবীকে বিষ্মিত, গর্বিত করা মুহূর্তটির তিন কুশীলবের মধ্যে নীল আর্মস্ট্রং ২০১২ সালে ও মাইকেল কলিন্স ২০২১ সালে বিদায় নিয়েছেন। বেঁচে আছেন কেবল অলড্রিন।

১৯৭১ সালে নাসা থেকে অবসর নেন বাজ অলড্রিন। ১৯৯৮ সালে তিনি মহাকাশে মনুষ্যবাহী মিশন উৎসাহিত করতে অলাভজনক সংস্থা শেয়ারস্পেস ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া বাল অলড্রিন ভেঞ্চারস এলএলসির প্রতিষ্ঠাতা তিনি।

২০১৯ সাল থেকে বাজ অলড্রিন ভেঞ্চারসে কাজ করছেন ড. আনকা ফর। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ৬৩ বছর বয়সী এ কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার।


আরও খবর