Logo
শিরোনাম

আব্বাস দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট দাখিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ১০৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের নামে চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সামনে সাংবাদিকদের এতথ্য নিশ্চিত করেন সংস্থাটির সচিব মাহবুব হোসেন।

দুদক সূত্র জানা যায়, দুদকে দাখিলকৃত আফরোজা আব্বাসের সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ার ৮ লাখ ৭০ হাজার ৭০৬টি, যার মূল্য ৮ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার ৬০০ টাকা, ঢাকা টেলিফোন কোম্পানি লিমিটেডের ১ লাখ শেয়ারের মূল্য ১০ কোটি টাকা, এফডিআর ও ডিপিএসে বিনিয়োগ ১৪ লাখ ৯ হাজার ৯৫৮ টাকা, ঢাকা টেলিফোন কোম্পানিকে ঋণ প্রদান এক কোটি টাকা, আত্মীয়-স্বজনদের ঋণ প্রদান ৪৫ লাখ টাকা, হাতে নগদ ও ব্যাংক ব্যালেন্স ৫ লাখ টাকা এবং স্বর্ণালংকার ক্রয় ৪২ লাখ ১১ হাজার ৮০৫ টাকাসহ মোট ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার ৩৬৩ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। মোট ২০ কোটি ৫২ লাখ ৮০ হাজার ৫৫৮ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন তিনি।

আফরোজা আব্বাস ওই সম্পদের উৎস হিসেবে এম এন এইচ বুলুর কাছ থেকে দেড় কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ এবং মা-বাবা ও বোনের কাছ থেকে ১ কোটি ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দান হিসাবে প্রাপ্ত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তার সপক্ষে কোনো দালিলিক তথ্য-প্রমাণ দিতে পারেননি তিনি।

এছাড়া বাকি অর্থ অর্জনের সপক্ষেও কোনো রেকর্ডপত্র অনুসন্ধানকালে দেখাতে পারেননি। প্রকৃতপক্ষে তিনি নিজের অবৈধভাবে অর্জিত জ্ঞাত আয়বহির্ভুত সম্পদ হস্তান্তর, রূপান্তর ও অবস্থান গোপন করার অসৎ উদ্দেশ্যে দালিলিক প্রমাণবিহীন ভুয়া ঋণ গ্রহণ দেখিয়েছেন।

সার্বিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, আফরোজা আব্বাসের নামে অর্জিত ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার ৩৬৩ টাকার সম্পদ প্রকৃতপক্ষে তার স্বামী মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদের সহায়তায় অবৈধ উৎস থেকে অর্জিত। ১৯৯১ সালের আগে মির্জা আব্বাসের উল্লেখযোগ্য কোনো আয় ছিল না। তিনি ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে তারা ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়বহির্ভুত ওই টাকার সম্পদ অর্জন করেন।

দুদকের অনুসন্ধানে অবৈধ পন্থায় অর্জিত সম্পদের অবৈধ পন্থায় হস্তান্তর, রূপান্তর ও অবস্থান গোপন করায় দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দ-বিধির ১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০২ এর ১৩ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন করে বলে প্রমাণিত হয়েছে বলেও মামলায় বলা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: দুদক ডিএমপি

আরও খবর

রাজধানীর ৯০ ভাগ হিজড়াই নকল

শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩