Logo
শিরোনাম

আদালতে এসে যুদ্ধাপরাধ মামলার আসামি দাবি করা বৃদ্ধ গ্রেফতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১৯২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার ৪২তম রায় ঘোষণার আগে বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ এফ এম ফয়জুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি ট্রাইব্যুনালের গেটে এসে নিজেকে এই মামলার প্রধান আসামি দাবি করে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে চান। পরে তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হলে ট্রাইব্যুনালের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এ এফ এম ফয়জুল্লাহ এত দিন পলাতক ছিলেন। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করতে চাইলে তাকে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর গফরগাঁও পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহবাগ থানাকে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হলে গ্রেফতার করা হয়।

তাকে নিয়ে কী করা হবে, এ ধোঁয়াশার মধ্যেই নয় আসামির রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তিন আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়। খালাস দেয়া হয় আব্দুল লতিফ নামে এক আসামিকে। বাকিদের দেয়া হয় ২০ বছরের জেল। পরে তাদের সাজার পরোয়ানা পাঠানো হয় কারাগারে।

রায় ঘোষণার পরে পলাতক আসামির হাজির হওয়া বিষয়ে জানতে চাইলে প্রসিকিউশন জানায়, এ বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।

তবে আসামি আত্মসমর্পণ করতে চাইলে, আসামি নিজে অথবা তার আইনজীবী আত্মসমর্পণের আবেদন দিতে হবে বলে জানান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম।

ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্টরা জানায়, নিজেকে পলাতক দাবি করা আসামি ফয়জুল্লাকে বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি যুদ্ধাপরাধ মামলার আসামি কিনা তা তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর