সাভারের আশুলিয়ায়
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে দুইজন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে
চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া গুলিবর্ষণের ঘটনায়
স্থানীয়রা গুলিবর্ষণকারী এমএ মতিন ও তার ছেলেকে গণধোলাই দিয়েছে। পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার
করে স্থানীয় গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
সোমবার দুপুরে
আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকায় ১০ বিঘা জমির বিরোধ নিয়ে এ গুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধরা
হলেন- আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকার কুদ্দুস ও তার প্রতিবেশী হুমায়ূন। অন্যদিকে গণধোলাইয়ের
শিকার হয়েছেন আশুলিয়ার গাজিরচটের ঊষাপোল্ট্রি মোড় এলাকার বাসিন্দা এমএ মতিন পাটোয়ারি
(৬২), তার স্ত্রী মরিয়ম ইসলাম (৫৭) তার ছেলে ফারহান (২৭)। এ ঘটনায় মতিন পাটোয়ারীর লাইন্সেসকৃত
শটগান ও পিস্তল জব্দ করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি
সদস্য হোসেন আলী মাষ্টার বলেন, আমি ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। যতদূর জানতে পেরেছি
কুদ্দুস ও হুমায়ুন কবিরদের সাথে মতিন পাটোয়ারীর প্রায় ১০ বিঘা জমি নিয়ে বিরোধ ছিল।
গত ২৫ জানুয়ারি হুমায়ুন কবির থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। উভয় পক্ষ থানায় যাওয়ার কথা
থাকলেও মতিন পাটোয়ারি যায়নি। পরে হঠাৎ করে সোমবার সকালে জমি দখলের চেষ্টা করে মতিন
পাটোয়ারি ও তার পরিবার। এসময় কুদ্দুস ও হুমায়ুন কবির বাঁধা দিলে মতিন পাটোয়ারি ও তার
ছেলে গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কুদ্দুস ও হুমায়ুন গুলিবিদ্ধ হলে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা মতিন
ও তার ছেলেকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
সাভার উপজেলা
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা বলেন, দুপুরে হুমায়ুন নামের
এক ব্যক্তি বাম হাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এসেছিলেন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত
চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আশুলিয়া থানা
পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল-মামুন কবির বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরেই গুলির ঘটনা
ঘটেছে। এতে দুই পক্ষই আহত হয়েছে। আমরা তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসা দিচ্ছি। এখনই কাউকে
আটক বলা যাবে না। আগে চিকিৎসা দিয়ে তাদেরকে সুস্থ করি, বিস্তারিত পরে জানাবো। তবে মতিন
পাটোয়ারির দাবীকৃত জমির কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত
ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া মতিন পাটোয়ারির লাইন্সেসকৃত শটগান ও পিস্তল জব্দ করা হয়েছে।