Logo
শিরোনাম

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতকে ‘কিছু বলার নেই’ যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশিত:বুধবার ২১ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ১৪৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে ভারতের অবস্থান কি হবে সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো মন্তব্য নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) স্ট্রাটেজিক কমিউনিকেশনস পরিচালক অ্যাডমিরাল জন কার্বি।

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভারতের যে অবস্থান, সেটা তাদের নিজস্ব বিষয় বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন্সের পরিচালক অ্যাডমিরাল জন কিরবি।

তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এরই মধ্যে অবস্থান খুব সুস্পষ্ট করেছে। আর (এক্ষেত্রে) ভারতের অবস্থান তাদের নিজস্ব বিষয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর উপলক্ষে মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র দপ্তরের ফরেন প্রেস সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংকালে জন কিরবি এ কথা বলেন।

মার্কিন প্রশাসনের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করা হয়, মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরে দক্ষিণ এশিয়ায় গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতা এবং মানবাধিকার পরিস্থিতির মতো বিষয় আলোচনায় গুরুত্ব পাবে কি-না এবং বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি যে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে, বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগের পাশে থাকবে কি-না।

জবাবে জন কিরবি বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিশ্বের যেখানেই যান, যে নেতার সঙ্গেই কথা বলেন, সেখানে মানবাধিকার নিয়ে তার আলোচনা-উদ্বেগ খুব সাধারণ এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়ক। মানবাধিকার এই (বাইডেন) প্রশাসনের বৈদেশিক নীতির একটি মৌলিক উপাদান। অবশ্যই আশা করা যায় যে, প্রেসিডেন্ট বরাবরের ধারাবাহিকতায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির মতো বন্ধু ও অংশীদারের সঙ্গেও এটা করতে পারেন।

আর আমি মনে করি, ভারত সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা বলতেই পারে। আমরা ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের আকাঙ্ক্ষা স্পষ্ট করে দিয়েছি। যারা বাংলাদেশের নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায়, আমাদের ভিসানীতিতে এমন ব্যক্তিদের ভ্রমণ সীমিত করার উদ্যোগ নিয়েছি। তাই আমি শুধু আমাদের কথাই বলতে পারি। ফলে এটা বোঝা যায় যে, আমাদের অবস্থান কোথায়। আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট। তবে ভারত সরকার তাদের দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতেই পারে, বলেন এনএসসির স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন্সের পরিচালক।


আরও খবর