Logo
শিরোনাম

বিশ্ব অর্থনীতি বদলে দিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

প্রকাশিত:সোমবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৭১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

গুগল ও মাইক্রোসফটের প্রতিযোগিতা দৃশ্যমান। চ্যাটজিপিটিকে টপকে যেতে বাজারে এসেছে নতুন চ্যাটবট ‌বার্ড। বার্ডের সামান্য ভুলে এর মধ্যে ১৬ হাজার ৩০০ কোটি ডলার শেয়ারদর পতন দেখেছে গুগল। ঘটনাটি একদিকে যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মনস্তত্ত্ব জানিয়ে দেয়, অন্যদিকে তুলে ধরে প্রযুক্তির দুনিয়ার পরিবর্তনকে। বাস্তবিক অর্থেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্থান ক্রমেই পরিবর্তন নিয়ে আসছে অর্থনীতির অঙ্গনে।

কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব নিয়ে এসেছে এআই। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ ও পোকামাকড় দমনে অনেক কৃষকই ভরসা রাখছেন এআইতে। উপকৃত হচ্ছেন চাষের নিয়ম ও জমির জন্য উপযুক্ত ফসল নির্বাচনে। খাদ্য উৎপাদনে মানোন্নয়ন ও আয় নিশ্চিত করতে তথ্য বিশ্লেষণ সহজ হয়েছে। মাটির পরিবর্তন ও ফসলের বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করছে ড্রোন ও সেন্সর। প্রয়োজনীয় সার কিংবা পানি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া আগের মতো দুর্বোধ্য নেই। কায়িক শ্রমের বিকল্প হয়ে এগিয়ে এসেছে রোবট। এক্ষেত্রে নিউজ মিডিয়ার পরিবর্তন অবশ্য ভিন্ন রকম।

সাবস্ক্রিপশন ও বিজ্ঞাপন বাড়াতে তারা নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করছে। গ্রাহকের তথ্য বিশ্লেষণ করে তারা সে অনুযায়ী তৈরি করছে কনটেন্ট। সমান যোগ্যতায় এ আলো ছড়িয়েছে জ্বালানি খাতেও। কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্যক্ষমতা সম্পর্কে পূর্বাভাস প্রদান ও ত্রুটি খুঁজে দিচ্ছে এআই। অবদান রাখছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রদান ও উপকূল অঞ্চলে বায়ুকল পরিচালনার ক্ষেত্রেও। পরামর্শের জন্য ব্যবহার হচ্ছে চ্যাটবট।

বিশ্বজুড়ে জ্বালানি সংকটের সময়ও এ খাতে গড়ে ওঠেছে ৩০টির বেশি নতুন কোম্পানি। কার্বন নিঃসরণ শনাক্তেও এআই রাখতে পারে অবদান। বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের ভাষ্যমতে, বহুজাতিক কোম্পানিগুলোয় এআই প্রযোগ করা গেলে ২০৩০ সালের মধ্যে ২ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত সাশ্রয়ী হবে। কার্বন নিঃসরণ শনাক্তে এআইয়ের ব্যবহার শেখাতে ১৫ কোটি পাউন্ড বরাদ্দ করেছে যুক্তরাজ্য সরকার।

উৎপাদন খাতে মেশিন লার্নিংয়ের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। শুধু তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের জন্য নয়। কারখানা পরিচালনার জন্যও সামনে এগিয়ে আসছে এআই। অটোম্যাশন ও ডিজিটাল যুগে ব্যয় কমে এসেছে উৎপাদনের। মানুষের স্পর্শ ছাড়াই বাজারে চলে আসছে পণ্য। এ জয়যাত্রায় শামিল হতে দেরি করেনি উন্নত দেশের সরকারগুলো।

২০২১ সালে পিডব্লিউসির দেয়া তথ্যানুযায়ী, পরিবহন খাত ২০ বছরে বেশি মানুষ চাকরি হারাবে। বাস ও ট্রেনে পরিচালনার ক্ষেত্রে এরই মধ্যে এআই দেখেছে দুনিয়া। অস্ট্রেলিয়ায় ড্রাইভারবিহীন ট্রেনের ধারণা কিংবা ব্রিটেনের পাতাল রেলে অটোম্যাশন প্রযুক্তির কথা স্মরণ করা যেতে পারে। রোবোট্যাক্সি ও পাইলটবিহীন উড়োজাহাজের দিনও বেশি দূরে নয়। পুনর্গঠিত হচ্ছে অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো। ব্যাংক ও এ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এআই যুগে বেশি কর্মকর্তার প্রয়োজন কমে যাবে। অবশ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণে কিছু মানুষ থাকবে তখনো। পাঁচ বছর ধরে সুপারশপগুলোয় সেল্ফ-স্ক্যানিং পরিষেবা গড়ে উঠেছে। নভেল করোনাভাইরাসের সময় কর্মী দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠলে পরিষেবাটির জনপ্রিয়তা বেড়েছে।

২০৩০ সাল নাগাদ বিদ্যমান চাকরির এক-তৃতীয়াংশ প্রতিস্থাপিত করা যাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে। নতুন দুনিয়ার অর্থনীতিতে তার প্রভাব পড়বে অনেক বেশে। টিকে থাকতে হলে মানুষকে এ বিবর্তন মেনে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।


আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩