Logo
শিরোনাম

বঙ্গোপসাগরে ট্রলারে বিস্ফোরণ, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬

প্রকাশিত:বুধবার ১০ মার্চ ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | ১৯৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার এলাকায় একটি মাছ ধরার ট্রলারে রহস্যজনক বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত অগ্নিদগ্ধ ছয় জেলে মারা গেছেন।

বুধবার (১০ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. মেহেরাজ উদ্দিন নামে আরও একজন মারা গেছেন।

অপর মৃত জেলেরা হলেন, রামগতির চরগাজী ইউনিয়নের দক্ষিণ টুমচর গ্রামের বেলাল হোসেন (২৮), মো. মেহেরাজ (২৬), চরলক্ষ্মী গ্রামের মো. মিলন (৩০), চররমিজ ইউনিয়নের চর গোসাই গ্রামের আবুল কাশেম (৫৫) ও মো. রিপন মাঝি (৩৮)। স্বজন ও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের শরীরের ৪০ থেকে ৫০ শতাংশই পুড়ে গেছে।

এছাড়াও ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন চরলক্ষ্মী গ্রামের মো. আলাউদ্দিন, মো. সাহাবউদ্দিন, আবু জাহের, মো. মিরাজ উদ্দিন ও মো. মিরাজ। এ ঘটনায় আরও ১০ জেলে আহত হয়ে কক্সবাজারের চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে বাড়িতে ও আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে অবস্থান করছেন।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি জেলেরা সাগরে জাল ফেলেন। মধ্যরাতে তাদের ট্রলারে হঠাৎ একটি শব্দ করে। পরপর আরও দুটি শব্দ হয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ট্রলারে থাকা ২১জন সবাই গুরুতর আহত হন। এদের মধ্যে ১২ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হলে সেখানে গত শুক্রবার রাতে দুই জন, শনিবার একজন, সোমবার একজন, মঙ্গলবার একজন ও বুধবার একজন মারা যান।

আহত শরীফ বলেন, আমরা ভেবেছিলাম ইঞ্জিনে বিস্ফোরণ হয়েছে। পরে দেখলাম ইঞ্জিনের কিছুই হয়নি। গ্যাস সিলিন্ডারগুলোও ঠিক ছিল। ট্রলারও ঠিক ছিলে। বিস্ফোরণের পুরো ঘটনাটিই রহস্যজনক মনে হয়েছে।

এ ব্যাপারে রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল মোমিন বলেন, জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসাসহ নিহতদের পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে। তবে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজনকে কক্সবাজার সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দিচ্ছি। কি কারণে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে তখন তদন্তের মাধ্যমে উঠে আসবে।



আরও খবর