Logo
শিরোনাম

দামুড়হুদায় পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে বিবাদে কুপিয়ে জখম, আটক ১

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ মার্চ ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | ১৯৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে প্রতিবাদ করায় প্রকাশ্যে পিস্তল ঠেকিয়ে তুলে নিয়ে মজিবার রহমান নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। বেধড়ক পিটিয়ে আহত করা হয়েছে তারই চাচাতো ভাই খোকন আলীকে।

মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আননাস আলী নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আহতরা হলেন- নতিপোতা গ্রামের দক্ষিণপাড়ার মৃত শমসের আলীর ছেলে মজিবর রহমান (৪৫) ও একই গ্রামের আনসার আলীর ছেলে খোকন আলী (৪০)। তাদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বছর খানেক ধরে নতিপোতা গ্রামের বসতিপাড়ার এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে একই গ্রামের দক্ষিণপাড়ার মজিবরের ছেলে জিনারুলের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হলে অলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এই নিয়ে মঙ্গলবার রাতে এলাকার চায়ের মোড়ের একটি দোকানে জিনারুলের সাথে খোকনের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে বিষয়টি স্থানীয়রা মিটিয়ে দেন।

আহত খোকন আলী জানান, বিষয়টি স্থানীয়রা মিটিয়ে দিলেও কিছুক্ষণ পর বাড়ি ফেরার সময় দক্ষিণপাড়া মসজিদের সামনে থেকে মজিবরের ছেলে জিনারুল আমাকে ও আমার চাচাতো ভাই মজিবরকে পিস্তল দেখিয়ে জোরপূর্বক ধরে তাদের বাড়ি নিয়ে যায়। এসময় জিনারুলের বাবা মজিবর ও তার দুই ভাই জিল্লু ও মিনারুল, দুলালের ছেলে রাজা ও কালিয়াবকরী গ্রামের মৃত পাথারের ছেলে মিজারসহ বেশ কয়েকজন আমাদের দুজনকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে জিনারুল ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মজিবরের মাথায় কোপ দিলে গুরুতর জখম হয় মজিবর। পুলিশ আসতে দেখে আমাকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। পরে মজিবর ও আমাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয় স্বজনরা। এ ঘটনায় আজ সকালে থানায় গিয়ে আমরা মামলা করবো। তারা এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী। তাদের কাছে পিস্তল ও শটগানসহ ভারী অস্ত্র আছে।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাকিল আর সালান জানান, মজিবরের মাথায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপ মেরে জখম করা হয়েছে। এখনি শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না। তার মাথায় অসংখ্য সেলাই দেওয়া হয়েছে। সিটি স্ক্যানের পর বোঝা যাবে তিনি শঙ্কামুক্ত কিনা।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আননাস আলীকে আটক করে পুলিশ। তবে, এখনও পর্যন্ত কেউ থানায় এসে অভিযোগ করেনি। নতিপোতা গ্রামের জিনারুল ইসলাম ও তার ফুফাতো ভাই মিজার পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও চিহ্নিত চাঁদাবাজ। তাদের নামে দামুড়হুদা মডেল থানা, মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: চুয়াডাঙ্গা

আরও খবর