তাঁর উপর তালেবান হামলার ১০ বছর পর জন্মভূমি পাকিস্তানে গেলেন মালালা ইউসুফজাই।
সেখানে বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষদের সঙ্গে দেখা করবেন নোবেলজয়ী। এর ফলে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক
সাহায্য পাবে বলে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মালালা ফান্ড। এমন
এক সময়ে পাকিস্তানে ফিরলেন মালালা, যখন তাঁর শহর মিনগোরাতে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে তালেবানি
শাসন। প্রতিবাদে পথে নেমেছে মালালারই প্রাক্তন স্কুলের পড়ুয়ারা।
মালালার তখন ১৫ বছর বয়স। মেয়েদের শিক্ষার প্রচার করছিলেন বলে তাঁকে গুলি করেছিল
পাকিস্তানি তালেবান। আফগানিস্তানের তালেবানদের নীতি মেনেই চলত পাক তালেবানরা। তাই নিষিদ্ধ
করেছিল নারী শিক্ষা। গুলিতে গুরুতর জখম মালালাকে চিকিৎসার জন্য ব্রিটেনে নিয়ে যাওয়া
হয়। সব থেকে কম বয়সে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন মালালা।
সেই তালেবান হামলার দশম বর্ষপূর্তির ঠিক দু’দিন পর করাচিতে গিয়েছেন মালালা। সেখান
থেকে বন্যাবিধ্বস্ত অঞ্চল ঘুরে দেখবেন। বন্যায় পাকিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ জলমগ্ন। ঘরছাড়া
৮০ লক্ষ মানুষ। মৃত কয়েক হাজার।
এ দিকে গত বছর থেকে আফগানিস্তানে তালেবান শাসন জারি হওয়ার পর আবারও পাকিস্তানের
সোয়াট প্রদেশে মাথা তুলেছে সেখানকার তালেবান। ২০১৪ সালে পাকিস্তানি সেনা অভিযানের পর
এই অঞ্চল থেকে এক প্রকার নির্মূল হয়ে গিয়েছিল তালিবরা। কিন্তু সম্প্রতি আবার তারা নিরাপত্তারক্ষীদের
নিশানা করে হামলা করছে। সোমবার একটি স্কুলবাস লক্ষ্য করে গুলি চলে। তাতে মারা যান চালক।
আহত হয় একটি শিশু। শান্তি ফেরানোর দাবিতে পথে নামে মালালার প্রাক্তন স্কুলের পড়ুয়ারা।
এই পরিস্থিতিতে মালালা সেখানে গিয়ে কোনও বার্তা দেন কি না, সেটাই দেখার।