দেশের উত্তরের জনপদে এখন তীব্র শীত। পৌষের এই তীব্র শীতেও গত ২৪ ঘণ্টায় দিনাজপুরে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শীত আর বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দিনাজপুরসহ এ জনপদের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
রিকশাচালক খালেদ হোসেন বলেন, দুই দিন ধরে
সূর্যের দেখা নেই। এদিকে প্রচন্ড বাতাস বইছে।এতে রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। এমন আবহাওয়ায়
মানুষের চলাচল কমে যাওয়ায় আয় কমেছে।
দিনমজুর রায়হান হোসেন বলেন, হিলিতে কয়েক
দিন ধরে শীত কমতে শুরু করেছিল। কিন্তু বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল থেক বাতাস বইছে। এতে
শীত বেড়ে গেছে। গতকাল সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। আজ সকাল থেকেও একই অবস্থা। গতকাল
কোনও কাজ পাইনি।
পথচারী ইব্রাহিম শেখ বলেন, বুধবার দু-এক
ফোটা বৃষ্টি হওয়ায় তাপমাত্রা আগের তুলনায় কমেছে। এর ওপর আজ সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি
হচ্ছে। এতে শীত যেমন বেড়েছে তেমনই বাড়ির বাইরে বের হয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
দিনাজপুরের আবহাওয়া অধিদফতরের ইনচার্জ
তোফাজ্জল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) দিনাজপুর অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯২ শতাংশ, গতিবেগ ঘণ্টায় ৫-৬
কিলোমিটার। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘণ্টায় ৮-১৪ কিলোমিটার পর্যন্ত বাতাস বইতে হতে পারে।
দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে
দিনাজপুরে, ৫.২ মিলিমিটার। আজ রাত থেকে তাপমাত্রা আরও কমতে পেতে পারে বলে জানান তিনি।