Logo
শিরোনাম

ধলাই নদীতে পানি বৃদ্ধি, আতঙ্কে মানুষ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১০৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় গত কয়েক দিনের ভারিবর্ষণ ও  উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে ধলাই নদীসহ পাহাড়ি ছড়াসমূহে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

বৃষ্টির পানি ও উজানের পাহাড়ি ঢল নেমে কেওলার হাওর ও আদমপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম তলিয়ে গেছে। বোরো ধান কাটার বাকি থাকা প্রায় ৫শ হেক্টর জমি ঢলের পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে আরও পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা হওয়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী।

মৌসুমের শুরুতে সেচ সংকট, খরা, অনাবৃষ্টি, পোকার আক্রমণসহ নানা প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে চলতি মৌসুমে ৪ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করেন কৃষকরা।

সরেজমিন দেখা যায়, গত কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিপাতে পাহাড়ি ঢলে উপজেলার নিম্নাঞ্চল কেওলার হাওর ও আদমপুর ইউনিয়নের আদকানি, নয়াপত্তন, উত্তরভাগ পানিতে তলিয়ে গেছে। ঢল ও জলাবদ্ধতায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫শ হেক্টর পাকা বোরো ধান তলিয়ে গেছে এবং আরও প্রায় ৫শ হেক্টর আংশিক নিমজ্জিত হয়েছে।

শ্রমিক নিয়ে কৃষকেরা ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এসব এলাকার নিচু জমিতে আবাদি বোরো ধান তলিয়ে গেছে। উপজেলার পতনঊষারের কেওলার হাওর এলাকার ধান কাটা প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে আশপাশ এলাকার কিছু ধান নিমজ্জিত ও আংশিক নিমজ্জিত রয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে কমলগঞ্জে ৪ হাজার ৩শ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে কৃষকদের আগ্রহে এ বছর এর মধ্যে ২১০ হেক্টর বেশি জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলার ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আগামী দুচার দিনের মধ্যে কৃষকরা শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন।

কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান বলেন, বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে বোরো ধানের কিছুটা এলাকা আংশিক নিমজ্জিত হলেও দ্রুত পানি নেমে যাচ্ছে। কৃষকরাও ধান কেটে ঘরে তুলে নিচ্ছেন। বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে কোনো সমস্যা হবে না বলে তিনি জানান।


আরও খবর