Logo
শিরোনাম

ধর্ষণের শিকার কিশোরীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ১৯৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image
দুই মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে তার সংসার। কিন্তু ধর্ষণের শিকার হয়ে মেয়েটি আত্মহত্যা করল। যারা তার অল্পবয়সী মেয়েকে ধর্ষণ করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই

রাজধানীতে ধর্ষণের শিকার কিশোরী মেয়েটির পাশে ছিল একটি চিরকুট। চিরকুটে লেখা ছিল মা–বাবাকে খুব ভালোবাসে।’ চিরকুটটি ১৩ বছরের এক কিশোরীর বিছানার পাশে পাওয়া গিয়েছিল। পুলিশ বলছে, আত্মহত্যার আগে সে এই চিরকুটটি লিখে গিয়েছিল।

স্থানীয় পুলিশ ও মামলার নথি থেকে জানা যায়, রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর বাসা থেকে গত ২৯ জানুয়ারি বিকেলে মায়ের সঙ্গে রাগ করে দুই বোন বের হয়। তাদের মধ্যে একজনের বয়স ১৩ বছর ও অন্যজনের ৭ বছর। বড় বোন তার এক বান্ধবীকে (১৪) সঙ্গে নেয়। এরপর ঘুরতে ঘুরতে তিনজন জুরাইন বাসস্ট্যান্ডে একটি বাসে ঘুমিয়ে পড়ে। ভোররাতে বাস থেকে নেমে একজন নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর সেখানে আসা দুই কিশোর তিনজনকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে রিকশায় করে তারা নিয়ে যায়।

শিশুসহ দুই কিশোরীকে কদমতলী এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ভবনের কাছে নিয়ে যায় দুই কিশোর। সেখানে একটি ভবনের দোতলায় নিয়ে ১৩ বছর বয়সী কিশোরীকে ধর্ষণ করে এক কিশোর। সকালে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী ও তার বোনকে দনিয়া এলাকায় খুঁজে পান তাদের বাবা। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে দুই কিশোর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

খুদে ব্যবসায়ী কিশোরীর বাবা বলেন, সেদিন ছিল শুক্রবার। মায়ের সঙ্গে অভিমান করে তার দুই মেয়ে সেদিন বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। রাতে বাসায় না ফেরায় খুব চিন্তিত হয়ে পড়েন। এরপর আত্মীয়স্বজনসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। দুই মেয়েকে না পেয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় যান সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে। পরে সকালে তিনি দনিয়া এলাকায় মেয়েদের খুঁজে পান।

তিনি আরও বলেন, দুই মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে তার সংসার। কিন্তু ধর্ষণের শিকার হয়ে মেয়েটি আত্মহত্যা করল। যারা তার অল্পবয়সী মেয়েকে ধর্ষণ করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

পুলিশ পরিদর্শক শাহীনুর রহমান বলেন, কিশোরীর আত্মহত্যার ঘটনাটি মর্মান্তিক, হৃদয়বিদারক। আদালতে দুই আসামি জবানবন্দিতে পুরো ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে। কিশোরী ধর্ষণে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহিনুর রহমান বলেন, দুই বোনের মধ্যে বড় বোন কদমতলী এলাকায় ধর্ষণের শিকার হয়। পরে ওই কিশোরী বাসায় ফিরে বিষপানে আত্মহত্যা করে। দুই কিশোর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। যে কিশোর ধর্ষণ করেছে, সে পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর

রাজধানীর ৯০ ভাগ হিজড়াই নকল

শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩