কনকনে শীতে কাঁপছে
দিনাজপুরবাসী। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। গতকাল শনিবার বিকেল
থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা পড়ছে। গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মতো পড়ছে শিশির।
শীত বাড়ার সঙ্গে
সঙ্গে ঠান্ডাজনিত রোগ নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে
শিশু ও বৃদ্ধ মানুষ। দিনাজপুর শিশু হাসপাতাল এবং দিনাজপুর সদর হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা
দ্বিগুণ হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
শিশু হাসপাতালে
কর্মরত ডা. সাব্বির হোসেন রোববার সকালে বলেন, ‘শীত বেড়ে যাওয়ায়
ঠান্ডাজনিত শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। হাসপাতালে কোনো শয্যা খালি নেই। ধারণক্ষমতার
চেয়ে বেশি শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া লাগছে। অবস্থা গুরুতর অনেককে ভর্তি করতে হচ্ছে। আবার
অনেককে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।’
জেলার সড়কে যানবাহন
চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক দুর্ঘটনাও ঘটছে। খেটে খাওয়া মানুষজনের
অনেকেই গরম কাপড়ের অভাবে ভোরে কাজে যেতে পারছেন না।
দিনাজপুর আবহাওয়া
অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জুল হোসেন জানান, আজ রোববার দিনাজপুরের তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাতাসের আদ্রতা ৯৫ শতাংশ আর ছয় থেকে আট কিলোমিটার বেগে বয়ে চলেছে বাতাস।
আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে জেলা আবহাওয়া অফিস।