Logo
শিরোনাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভিন্ন শিডিউল

দুই ঘণ্টা পর পর এক ঘণ্টা লোড শেডিং!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ১০৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে লোড শেডিংয়ের ঘোষণা দেওয়া হয় গতকাল সোমবার। আজ থেকে দেশে শুরু হয়েছে শিডিউলভিত্তিক লোড শেডিং। অধিকাংশ এলাকায় লোড শেডিংয়ের শিডিউল প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে ভিন্ন শিডিউল।

এতে বলা হয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন সকল গ্রাহককে দুই ঘণ্টা পর পর এক ঘণ্টা লোড শেডিং দেওয়া হবে। আগামীকাল বুধবার থেকে এ লোড শেডিং কার্যকর হবে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ কান্তি মজুমদার স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা যায়। চিঠিতে উল্লেখিত বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের এলাকা শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরসহ আশপাশের সামান্য অংশ। এ ছাড়া আশুগঞ্জ, সরাইল, বাঞ্ছারামপুর এলাকাও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার মোট ৯ উপজেলার মধ্যে আটটিতে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক আছে। এর মধ্যে ছয়টি উপজেলা পুরোপুরি পল্লী বিদ্যুতের আওতায়। এ ছাড়া দুই উপজেলার কিছু কিছু এলাকায় আছে পল্লী বিদ্যুতের লাইন। পল্লী বিদ্যুতের সর্বশেষ প্রতিবেদেনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঁচ লাখের বেশি গ্রাহক আছে বলে উল্লেখ আছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লোড শেডিং বেশি দিতে হচ্ছে বলে দাবি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির।

সরকারের দেওয়া নির্দেশনায় মফস্বল এলাকায় প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে লোড শেডিং দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। প্রয়োজনে সেটা বাড়িয়ে দুই ঘণ্টা করার কথা জানানো হয়েছে। তবে ব্রহ্মণবাড়িয়ায় প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না বলে শিডিউল প্রকাশ করল কর্তৃপক্ষ। এতে দিন-রাতে মোট আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকবে গ্রাহকরা।

এদিকে আজ মঙ্গলবারও জেলার বিভিন্ন স্থানে লোড শেডিং অব্যাহত আছে। সোমবার রাত থেকেই বিভিন্ন উপজেলায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। দিনের বেলায়ও ছিল একই অবস্থা। তবে সে অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় তেমন সমস্যা দেখা দেয়নি। পৌর এলাকায় বারবার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করলেও স্থায়িত্ব ছিল তুলনামূলক কম।

পল্লী বিদ্যুতের করা তালিকা থেকে দেখা যায়, ঘুরেফিরে ২৪ ঘণ্টাই এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং দেওয়া হবে। সদর দপ্তর, বাহাদুরপুর, বিজয়নগর-২ (চম্পকনগর), আখাউড়া-১ (সদর), উড়শিউড়া (সুলতানপুর), নবীনগর-৩ (বিদ্যাকুট), নবীনগর-৪ (সাহারপাড়), আখাউড়া-২ (মোগড়া), কসবা-২ (তিনলাখ পীর), কসবা-১ (কুটি), নবীনগর-১ (নবীনগর সদর), নবীনগর-২  (থোল্লাকান্দি), নাসিরনগর, বিজয়নগর-১ (চান্দুরা), নবীনগর-৫ (জিনদপুর) উপকেন্দ্রে প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর এক ঘণ্টা লোড শেডিং দেওয়া হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম মো. আক্তার হোসেন মঙ্গলবার বিকেল বলেন, যে তালিকা করা হয়েছে সেটা বুধবার থেকে কার্যকর হবে। আশুগঞ্জে ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লোড শেডিং বেশি দিতে হবে। কারণ বাইরে থেকে আমরা সে অনুযায়ী বিদ্যুৎ আনতে পারছি না। তবে অবস্থা বুঝে লোড শেডিংয়ের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হবে।


আরও খবর