এবার লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ছয় মাদরাসা ছাত্রের চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মঞ্জুরুল কবির মঞ্জু নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
গত বুধবার মাদরাসার বারান্দায় ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গেছে। এ ঘটনার এক মিনিট ১০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও আজ শুক্রবার সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। এতে দেখা যায়, শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির মঞ্জু দাখিল শিক্ষার্থীদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে কাঁচি দিয়ে চুল কেটে দিচ্ছেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানায়, বুধবার শ্রেণিকক্ষে পাঠ কার্যক্রমে অংশ নেয় তারা। একপর্যায়ে শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির ছয়জনকে দাঁড় করিয়ে কক্ষের সামনের বারান্দা আসতে বলেন। এসময় তিনি উত্তেজিত হয়ে একটি কাঁচি এনে একে-একে মাথার টুপি সরিয়ে সামনের অংশের এলোমেলোভাবে চুল কেটে দেন। পরে তারা লজ্জায় ক্লাস না করেই বেড়িয়ে যায়।
অভিযুক্ত শিক্ষক মঞ্জুরুল কবিরের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার এক ঘনিষ্ঠজন জানান, ছাত্রদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে থাকা ও নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার জন্যই ঘটনাটি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বামনী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন বলেন, মঞ্জুরুল কবির ইউনিয়ন জামায়াতের আমির। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সবসময় দলীয় প্রভাব বিস্তার করেন।
হামছাদী কাজীরদীঘিরপাড় আলিম মাদরাসার সুপার মাওলানা বালাকাত উল্যা বলেন, চুল কাটার ঘটনাটি শুনেছি। তবে, কোনো ছাত্র লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে আমি অবগত নই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।