Logo
শিরোনাম

এক শিশুকে ধর্ষণ আরেক শিশুকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা, গ্রেফতার ২

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | ১৮৩০জন দেখেছেন
Image

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীর সেনবাগে পৃথক পৃথক স্থানে একটি শিশুকে (১১) ধর্ষণ ও আরেক শিশুকে (১১) রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত এক যুবককে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। অপর এক যুবকের বিরুদ্ধে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

নোয়াখালীল সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নে চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে (১১) রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত, নুরুল আমিন বাবু (৩২) উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের মধ্য বীজবাগ গ্রামের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের বাড়ির করিম উল্যার ছেলে।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অভিযুক্ত আসামিকে নিজ বসত বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, স্কুল ছাত্রী (১১) সকাল ৮টার দিকে মক্তব্য থেকে আরবী পড়া শেষে বাড়ি ফিরছিল। ফেরার পথে বাড়ির পাশের নুরুল আমিনের সাথে রাস্তায় তার দেখা হয়। এ সময় নুরুল আমিন তাকে রাস্তায় একা পেয়ে  মুখ চেপে ধরে তুলে নিয়ে নিজ বসত ঘরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী একপর্যায়ে শৌর চিৎকার করে দৌঁড়ে পালিয়ে গিয়ে তার মাকে বিষয়টি খুলে বলে।

অপরদিকে, গতকাল সোমবার (১২ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার ১নং ছাতারাপাইয়া ইউনিয়নের বিরাহীমপুর গ্রামের (১১) বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে একই বাড়ির ওমর ফারুক (১৯) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সে ছাতারাপাইয়া ইউনিয়নের বিরাহীমপুর গ্রামের চৌকিদার বাড়ির মৃত তবারক আলীর ছেলে এবং পেশায় একজন অটোচালক।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) দুপুরে ধর্ষণের শিকার শিশুকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং ধর্ষক ওমর ফারুককে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুটির মা বাদী হয়ে একই দিন রাতে অভিযুক্ত আসামির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ধর্ষককে গ্রেফতার করে।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি আরও জানান, মৌখিক অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত আসামি বাবুকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ওই মামলায় আটককৃত আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার সকালে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

ওসি আবদুল বাতেন মৃধা জানান, আরেক শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অটোচালক ফারুককে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর