বান্দরবানের আলীকদমে
আন্তঃইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় বিজয়ীদের জন্য আনা ট্রফি (কাপ) ভেঙে
ফেলেছেন আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহরুবা ইসলাম।
শুক্রবার বিকেলে
২নং চৈক্ষং ইউনিয়নের রেপারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আবাসিক স্বাধীন যুব সমাজের উদ্যোগে
আন্ত ইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় আবাসিক জুনিয়র একাদশ বনাম রেপার পাড়া
বাজার একাদশ দলের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
খেলায় প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহরুবা ইসলাম। খেলায়
সমাপনী বক্তব্যে এবং পুরস্কার বিতরণ করার এক পর্যায়ে ইউএনও জনসাধারণের ওপর ক্ষিপ্ত
হয়ে ট্রফি (কাপ) ভেঙে ফেলেন।
এ বিষয়ে জানতে
চাইলে সমাপনী খেলার বিশেষ অতিথি আলীকদম উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন
জানান, সমাপনী খেলার প্রথমে ২ দলে ৩৫ মিনিট করে ৭০ মিনিট খেলার পর কোনো দলের গোল না
হওয়ার কারণে রেফারীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুই দলকে টাইব্রেকার খেলার সিদ্ধান্ত দেয়। খেলায়
৪টা টাইব্রেকারে আবাসিক জুনিয়ার দলের ৩টা গোল হয় এবং টাইব্রেকার রেপার পাড়া একাদশের
একটা গোল হয়।
খেলায় আবাসিক
জুনিয়র একাদশ চ্যাম্পিয়ন এবং রেপার পাড়া একাদশ রানার্স আপ হয়। এটা নিয়ে উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা উপস্থিত জনসাধারণকে বলেন, খেলার হার জিত থাকবে। এতে কারো মন খারাপের কারণ
নেই। তিনি তখন জনসাধারণের কাছে খেলার ফলাফলে সন্তুষ্ট কিনা জানতে চাইলে কয়েকজন খেলার
ফলাফলে মানি না বলাতে ইউএনও ক্ষিপ্ত হয়ে খেলার চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপ কাপ (ট্রফি)
ভেঙে ফেলেন। এতে করে আমি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ইউএনওকে ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে
অনুরোধ করি। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে সব সমাধান দিয়ে আমি চলে আসি। বিষয়টা খুব দুঃখজনক।
রেপার পাড়া এলাকার
যুবক ইমরুল কায়েস জানান, বিষয়টা খুব খারাপ হয়েছে। আমরা যুব সমাজকে ক্রীড়ামুখি করার
জন্য খেলাধুলার ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু তিনি একজন উপজেলা প্রশাসনের প্রধান হয়ে আমাদের
খেলার এত সুন্দর পরিবেশটা নষ্ট করে মোটেও ভালো করেননি।
এ ব্যাপারে উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেরুবা ইসলাম মুঠোফোনে জানান, খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণের
সময় হঠাৎ একজন এসে বললেন যে, তিন গোল চার গোল তারা মানে না। তখন আমি বললাম, খেলা আবার
হবে কিনা। তখন এটা নিয়ে পেছন থেকে খুব আওয়াজ শুরু হলো তারা ট্রফি নেবে না। তারাই
বলল, ট্রফি যতদিন থাকবে একটা আক্রোশ থাকবে। তারা বলল, ট্রফি ভেঙে ফেলা হোক। পরে আমি
বললাম, তাহলে ঠিক আছে আপনারা মেডেলগুলো নিয়ে যান।