Logo
শিরোনাম

ফরিদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাদাৎ হোসেন জয়ী

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | ১০১০জন দেখেছেন
Image

ফরিদপুর প্রতিনিধি:

ফরিদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ শাহাদাৎ হোসেন ৬২৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তিনি চশমা প্রতিক নিয়ে ৬২৫ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী মো: ফারুক হোসেন আনারস প্রতীক নিয়ে ৫৪০ ভোট পেয়ে ২য় অবস্থানে আছেন। অন্যদিকে, মো. নুর ইসলাম সিকদার মোটরসাইকেল প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ০৮ ভোট।

আজ সোমবার (১৭ অক্টোবর) দীর্ঘদিন পর জমজমাট ও লড়াকুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফরিদপুর জেলা পরিষদের নির্বাচন। 

জানা যায়, সারা দেশের ৬০টি জেলা পরিষদের মতো ফরিদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়েছে। ইভিএমের মাধ্যমে জেলার নয়টি উপজেলা পরিষদে নয়টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট প্রয়োগ করেছেন ভোটাররা। ৯ টি ওয়ার্ডে সদস্য পদে ৩৭ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১১ জন প্রার্থী রয়েছেন। নির্বাচনে ভোটার ছিল ১১৮৭ জন।এর মধ্যে ১১৭৩টি ভোট প্রদান করেছে ভোটাররা।

এ নির্বাচন ঘিরে জেলায় তৈরি হয়েছে ভিন্ন রকম আমেজ। শুরুতেই আলোচনার ঝড় ওঠে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী প্রার্থী দিচ্ছেন এবং এই নেতা নিজেই প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদৎ হোসেনের নাম ঘোষাণা করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি নিজের পদ থেকে অব্যাহতি নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যান। চষে বেড়ান জেলার নয়টি উপজেলা। ভোটারদের কাছে ভোটের দাবিতে ঘুরে বেড়ান।

ফরিদপুরের ৯টি কেন্দ্রে তার প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা হলো-ভাঙ্গা উপজেলা ১৩২ ভোট,মধুখালী উপজেলা ৬০ ভোট,নগরকান্দা উপজেলা ৮৪ ভোট,সালথা উপজেলা ৭৪ ভোট,চরভদ্রাসন উপজেলা ৩০ ভোট,আলফাডাঙ্গা উপজেলা ৩১ ভোট,সদরপুর উপজেলা ৮২ ভোট,বোয়ালমারী উপজেলা ৬৬ ভোট,ফরিদপুর সদর ৬৬ ভোট। সর্বমোট =৬২৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী মোঃ ফারুক হোসেন পেয়েছে ৫৪০ ভোট। ফলাফল মোঃ শাহাদাৎ হোসেন ৮৫ ভোট বেশী পেয়ে জয়ী।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল অতুল সরকার জানান, নির্বাচনকে ঘিরে র‌্যাব, পুলিশ, আনসার ও বিজিবির চার স্তরের নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন রাখা হয়। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ জুডিশিয়াল স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করে। নির্বাচন নিয়ে কোথাও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

ফলাফল ঘোষণার পরেই ভাঙ্গা উপজেলাসহ প্রত্যেকটি উপজেলাতেই শাহাদাৎ হোসেনের নেতাকর্মী ও সমার্থকদের আনন্দ মিছিল বের করতে দেখা যায়।


আরও খবর