Logo
শিরোনাম

ফরিদপুরে তরুণীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | ১১৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় ২২ বছর বয়সী এক সন্তানের জননীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করার পর তালাক দিয়ে ফের তাকে জোর করে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে আদালতে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পুলিশের ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ নিয়েছেন।

এ ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত আসামি মো. ফুয়াদ শেখ (২৪)। তিনি উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের সিংহপ্রতাব গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য শাহজান শেখের ছেলে।গত বৃহস্পতিবার এক সন্তানের মা ওই নারী বাদী হয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলাটি দায়ের করেন।

এ মামলায় ফুয়াদ শেখ এবং তার চার সহযোগী সিংহপ্রতাব গ্রামের সাইদুর রহমান সাহিদ শেখ (৪৫), জাকির মাতুব্বর (৪০), মুরাদ খালাসী (৩৫) ও জাফর শেখকে (৩৫) আসামি করা হয়েছে।

ধর্ষিতা ওই নারীর মা বলেন, মামলার পর থেকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসামিরা আমার স্বামী ও সন্তানদের এলাকা ছাড়া করে রেখেছেন। এমনকি আমাদের জমির পেঁয়াজও উঠাতে দিচ্ছে না তারা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আসামিদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনার ফুয়াদ শেখের বাবা ইউপি সদস্য শাহজাহান শেখ বলেন, ঘটনাটি সাজানো নাটক। আমাদের হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ওই নারীকে আমার ছেলে বিয়ে করেছিল। বিয়ের পর আবার তালাক দিয়েছে। তালাকের পর নতুন করে কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এ মামলার বাদীপক্ষের  আইনজীবী আব্দুর রশিদ বলেন, ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্রদীপ কুমার রায় অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামী ১২ মে।

ফরিদপুর পিবিআইর পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশনা আমরা এখনো হাতে পাইনি। আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার পর তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হবে।


আরও খবর