Logo
শিরোনাম

ঘুষের টাকা চেয়ে গণধোলাইয়ের শিকার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | ২১১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

পণ্যে ভেজাল আছে অভিযোগ তুলে হাটের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঘুষ দাবি করায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও তার এক সহযোগীকে উত্তেজিত জনতা গণধোলাই দিয়ে আটকে রাখার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদেরকে জনতার কবল উদ্ধার করে।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলে আশিক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার ধামাইচ গ্রামীণ হাটে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত স্যানিটারি ইন্সপেক্টর এস.এম. শহিদুল ইসলাম রন্টু ও হাসপাতালের নৈশ প্রহরী গোরাচাঁদ ধামাইচ হাটে গিয়ে ভেজাল পণ্যের অভিযোগ তুলে ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে মোটা অংকের ঘুষ দাবি করেন। ব্যবসায়ীরা ঘুষ দিতে অস্বীকার করলে তাদেরকে জেল জরিমানার ভয় দেখিয়ে খারাপ ব্যবহার করে। এ সময় উত্তেজিত জনতা তাদেরকে গণপিটুনি দিয়ে আটকে রাখে। এ ঘটনায় তার জামা ছেড়া অবস্থায় একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর এস.এম. শহিদুল ইসলাম রন্টু ও নৈশ প্রহরী গোরাচাঁদকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

ধামাইচ বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী রাশিদুল ইসলাম বলেন, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর এস.এম. শহিদুল ইসলাম রন্টু প্রায়ই হাট বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়ে থাকেন। গতকাল বিকেলে ধামাইচ হাটে এসে অনেক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নেন। আমার দোকানে এসেও তিনি টাকা দাবি করেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য স্যানিটারি ইন্সপেক্টর এস.এম. শহিদুল ইসলাম রন্টুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কোনও কথা বলতে রাজি হননি।

তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলে আশিক বলেন, খরব পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে ধামাইচ হাট থেকে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর এস.এম. শহিদুল ইসলাম রন্টু ও নৈশ প্রহরী গোরাচাঁদকে উদ্ধার করা হয়। পরে রাত ৮টার সময় মুচলেকা দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তাদেরকে তার জিম্মায় নিয়ে যান।


আরও খবর