Logo
শিরোনাম

গোবিন্দগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে জমি না থাকায় পাঠদান অনিশ্চিত

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ৯৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিএস বিদ্যুৎ, গোবিন্দগঞ্জ সংবাদদাতা:

গোবিন্দগঞ্জে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে কোন জমি না থাকায় কমলমতি শিশুদের পাঠদান অনিশ্চিত হয়ে পরেছে। আবার ঐ স্কুলের সরকারী অর্থায়নে নতুন করে জমি ক্রয়ের পায়তারা চলছে। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ১৩নং কামারদহ ইউনিয়নের মোগলটুলি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে মাত্র তিনশতক জমি দিয়ে অবশিষ্ট ২৭শতক জমি ১নং খাস খতিয়ানের গজারিয়া নদীর জমি ভুয়া দলিল ও খারিজ দেখিয়ে সরকারী করন করা হয়েছে গত ২০১৩ সালে।

স্কুল পরিদর্শনে দেখা যায়, স্কুলের কোন ক্লাশরুম নেই ও কোন জমিও নেই বর্তমানে মোগলটুলি বালিকা বিদ্যালয়ের রুম ব্যবহার করছে স্কুলটি। একটি ছোট বিল্ডিং ছিল তা জমি অধিগ্রহনে রাস্তার ভিতর চলে গেছে। জমি না থাকায় অস্থায়ী ঘড় নির্মানের বরাদ্ধের তিনলক্ষ টাকা কাজে আসছেনা।

প্রথান শিক্ষক বলেন জমিনা থাকায় অস্থায়ী ভাবে ঘর নির্মান করতে পারছিনা। জমির বিষয়ে জানতে সরকারীকরন সময়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন লিপি বেগম তিনি জানান, আমি জমির বিষয়ে কিছু জানিনা আরো বলেন সরকারী করনের পূর্বে এটিও, টিওস্যারেরা সব কাগজপত্র দেখে তাহলে কিভাবে অনুমোদন দিয়েছে। স্কুলে নামে জমি না থাকা সর্তেও কিভাবে তারা সরকারীকরনের জন্য সুপারিশ করেছে আপনারা তাদেরকে বলেন। প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিতিমালা অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারীকরনের জন্য প্রয়োজন এক বিঘা বা ৩৩ শতকজমি। মোগমটুলি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোন জমিনা থাকলেও কিভাবে সরকারীকরন হল তা এখন প্রশ্ন সচেতন মহলের।

ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবক ও এলাকাবাসী বলছেন বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠাকালে জমিদাতা হিসাবে যারা চাকুরী পেয়েছেন ঐ সকল শিক্ষক স্কুলের সাথে এবং সরকারের সাথে প্রতারণা করে চাকুরী নিয়েছে এবং তাদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করছেন। এ বিষয়ে বর্তমান সময়ের প্রধান শিক্ষক হাসানুল হাসিম বলেন আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর গত দুই বছর পূর্বে বিদ্যালয়ের জমি সাসেক-২ অধিগ্রহণ করে সে কারনে বিদ্যালয়ের জমির পরিমান জানতে পারি বর্তমানে মোগমটুলি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোনো জমি নাই। আমরা মোগমটুলি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরাতন বিল্ডিং ব্যবহার করছি।

স্কুলের নামে তিন শতক জমি ছিল তা অধিগ্রহণ করেছে সরকার এবং আরো ২৭ শতকজমি থাকার কথা কিন্তু সেগুলো সরকারী খাসখতিয়ানের এবং সেগুলো সরকারী গজারিয়া খালের ভিতর। খাসখতিয়ানের জমি স্কুলের নামে আসলো কিভাবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন সে সময় যারা স্কুলের কাগজপত্র পাঠিয়েছে তারা বলতে পারবে।

স্কুলের নামে সরকারী খাস খতিয়ানের জমি জাল দলিল করে স্কুলের নামে দেখীয়ে সরকারী করন করা হয়েছে এবং বর্তমানে ঐ স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাশ করার মতো কোন জয়গা নাই শিক্ষার পরিবেশ এবং শিক্ষার মান নেই বললেই চলে এমন প্রশ্নে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রমজান আলী বলেন আমি ডিপিও স্যারের নিকট স্কুল সমন্ধে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। স্যারের আদেশ মতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসেন আলী বলেন জমির বিষয়ে কোন অনিয়ম করলে ঢাকা অফিস ব্যবস্থা নেবে এখানে আমার কিছু করার নাই।

উক্ত বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রসাসক অলিউল রহমান বলেন য়ারা এ অনিয়মের সাথে জরিত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: পাঠদান অনিশ্চিত

আরও খবর