কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার গৃহবধূ জামিলা বেগম হত্যা মামলায় ৩ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড
দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় অপর এক আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। ২০১৬ সালে এই হত্যাকাণ্ডের
ঘটনা ঘটে। কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল উদ্দিন মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মেঘনা উপজেলার শিকিরগাঁও এলাকার সুমন ও রাকিব,
মানিকারচর এলাকার তাছির। এর মধ্যে তাছির পলাতক রয়েছে।
কুমিল্লা আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মো. জহিরুল ইসলাম সেলিম জানান, ২০১৬ সালে
২০ জুন সন্ধ্যায় মেঘনা উপজেলার মানিকারচর এলাকার গৃহিনী জামিলা বেগম নিখোঁজ হয়। বহু
খোঁজাখুঁজির পর ২৪ জুন জামিলার গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২৫ জুন জামিলার স্বামী মো.
আবদুল হাকিম বাদী হয়ে মেঘনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ তদন্তে ৪ জনকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। দীর্ঘতদন্ত এবং আদালতে
সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক ৩ আসামি সুমন, রাকিব ও তাছিরকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।
টিটু নামে অপর আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। এই ঘটনায় মোট ১১ জন সাক্ষ্য প্রদান
করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত রাকিব ও সুমন এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া খালাসপ্রাপ্ত
টিটুও উপস্থিত ছিলেন।
পিপি অ্যাডভোকেট মো. জহিরুল ইসলাম সেলিম আরো জানান, জামিলা বেগমের কানের দুল
ও টাকা ছিনতাইয়ের জন্য তাকে হত্যা করা হয়।
কুমিল্লা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. মজিবুর রহমান জানান, রায়ের পর উপস্থিত
দুই আসামি স্বাভাবিক ছিলো। তাদেরকে কোর্টের কাস্টেডিতে রাখা হয়েছে। বিকেলের মধ্যে তাদেরকে
কারাগারে প্রেরণ করা হবে।এদিকে রায়ের পর উপস্থিত দুই আসামি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। স্বজনরা
তাদেরকে সান্তনা দেয়ার চেষ্টা করেন।