Logo
শিরোনাম

গরুর খাদ্য তৈরির আগে যেসব বিষয় জানতে হবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | ১৭০০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

পারিবারিক খামার ছাড়াও আমাদের দেশে এখন বাণিজ্যিকভাবে গরু পালন হচ্ছে। গরু পালনের জন্য এর খাবারে প্রতি যত্নবান হতে হবে। গরুকে প্রতিদিন ভালো খাবার না দিলে খামার থেকে বেশি লাভবান হওয়া যাবে না। তাই জেনে নিন গরুর খাদ্য তৈরির আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। গরুর জন্য যেসব খাদ্য উপকরণ স্থানীয় বাজারে সহজে ও সস্তায় পাওয়া যায়, খাদ্য তৈরির সময় সে সকল উপকরণ ব্যবহার করা উচিত। খাদ্য অবশ্যই সুস্বাদু ও সহজ পাচ্য হতে হবে। খাদ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সঠিক মাত্রায় থাকতে হবে। অর্থাৎ খাদ্য সুষম হতে হবে।

খাদ্য উপকরণ টাটকা হতে হবে। ময়লা, ছাতাপড়া, দুর্গন্ধ, ধুলাবালি ও ভেজাল ইত্যাদি মুক্ত হতে হবে। ভেজাল মুক্ত বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী দিয়ে খাদ্য তৈরি করতে হবে। খাদ্য উপকরণ হঠাৎ করেই পরিবর্তন করা উচিত নয়, পরিবর্তন করা প্রয়োজন হলে দিনে দিনে অল্প অল্প করে পরিবর্তন করতে হবে। দুগ্ধবতী গাভীর খাদ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে খনিজ পদার্থ থাকতে হবে, খনিজ পদার্থের অভাবে দুধ উৎপাদন হ্রাস পাবে এবং দুধ দেওয়া শেষে গাভী অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়বে। খাদ্য প্রস্তুতের সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন পশুর পেট ভরা না থেকে। খাদ্য অবশ্যই স ঠিকভাবে তৈরি করতে হবে। যেমন, ছোলা, খেসারি, মাসকালাই, ভুট্টা, গম, খৈল ইত্যাদি মিশ্রণের আগে ভেঙে (আধা ভাঙা) নিতে হবে। আস্ত শস্য দানা অনেক ক্ষেত্রেই পশু হজম করতে পারেন না।

ছোবড়া জাতীয় খাদ্য যেমন, খড়, কাঁচা ঘাস, ইত্যাদি আস্ত না দিয়ে কেটে কেটে ছোট করে খাওয়াতে হবে। এতে যেমন অপচয় কম হবে তেমনি পশুর সুবিধা হবে এবং হজমে সহায়ক হবে। শুকনা খড় কেটে ভিজিয়ে খেতে দিলে গরুর হজম সহজ ও বৃদ্ধি পায়। খাদ্য ফর্মুলা অবশ্যই অর্থনৈতিক দিক থেকে সস্তা হতে হবে। খাদ্য উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি হলে প্রস্তুতকৃত খাদ্য মূল্য ও বৃদ্ধি পাবে, ফলে উৎপাদন ব্যয় ও বেড়ে যাবে। মৌসুমভিত্তিক খাদ্য ক্রয় ও গুদামজাত করলে খাদ্য মূল্য কমাতে পারে। এসব বিষয়ে খেয়াল রাখলে গরুর খামার করে লাভবান হওয়া সম্ভব।

নিউজ ট্যাগ: দুগ্ধবতী গাভী

আরও খবর

শখের নার্সারিতে সফল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মনির

মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

জয়পুরহাটে ৮৫৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ

মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩