Logo
শিরোনাম

গর্ভধারণ-সন্তান প্রসবে বিশ্বে ২ মিনিটে ১ নারীর মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

গর্ভধারণ ও সন্তান প্রসব সংক্রান্ত জটিলতায় বিশ্বজুড়ে প্রতি দুই মিনিটে এক নারীর মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর: এএফপির।

তবে ২০ বছরের ইতিহাসে মাতৃত্বজনিত মৃত্যু এক-তৃতীয়াং কমেছে। ২০০০ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত এই মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমলেও ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কমতির হার অনেক কম। তবে কিছু এলাকায় তা বেশ কমেছে।

২০ বছরে বিশ্বে গড় মাতৃত্বজনিত মৃত্যুহার ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে। ২০০০ সালে যেখানে এক লাখ সন্তান জন্মদানের ঘটনায় ৩৩৯ মায়ের মৃত্যু ঘটত, ২০২০ সালে এসে তা ২২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ তথ্য জানানো হয়ে। এর মানে ২০২০ সালে প্রতিদিন ৮০০ নারীর মৃত্যু হয়েছে অর্থাৎ প্রতি দুই মিনিটে একজন।

বেলারুশ এক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে। দেশটিতে মাতৃত্বজনিত মৃত্যু সাড়ে ৯৫ শতাংশ। অন্যদিকে ভেনিজুয়েলায় এই কারণে সবচেয়ে বেশি নারীর মৃত্যু হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে মাতৃত্বজনিত মৃত্যু ব্যাপকহারে বেড়েছে।

ডব্লিউএইচও প্রধান ডা. টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়াসুস বলেন, গর্ভধারণ যেখানে নারীর সবচেয়ে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা ও আশাবাদী হওয়ার সময়, সেখানে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি নারীর জন্য এটিই সবচেয়ে আতঙ্কজনক অভিজ্ঞতা হিসেবে রয়ে গেছে। নতুন পরিসংখ্যান বলছে, নারী ও মেয়েদের গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসা নিশ্চিত করা জরুরি। তাহলে তারা সুষ্ঠুভাবে সন্তান জন্মদানের অধিকার চর্চা করতে পারবেন।

জাতিসংঘের রিপোর্ট বলছে, ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যকার সময়ে আট অঞ্চলের মধ্যে মাত্র দুটিতে মাতৃত্বজনিত মৃত্যুহার কমেছে। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে ৩৫ শতাংশ এবং মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় ১৬ শতাংশ কমেছে।

ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় ১৭ শতাংশ বেড়েছে এবং লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে ১৫ শতাংশ বেড়েছে।

ইউরোপের গ্রিস ও সাইপ্রাসে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলে প্রতিবেদনটির লেখক জেনি ক্রসওয়েল সাংবাদিকদের বলেছেন। বিশ্বের দরিদ্রতম অঞ্চলে এবং সংঘাতপূর্ণ এলাকাগুলোতে মাতৃত্বজনিত মৃত্যুকে এখনও গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়।

২০২০ সালে মৃত্যুর প্রায় ৭০ শতাংশ ঘটেছে সাব-সাহারা আফ্রিকা অঞ্চলে। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের তুলনায় তা ১৩৬ গুণ বেশি।

নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত আফগানিস্তান, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, চাদ, ডিআর কঙ্গো, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেনে মাতৃত্বজনিত মৃত্যুহার বিশ্বের গড় হারের চেয়ে দিগুণ।

মারাত্মক রক্তক্ষরণ, সংক্রমণ, অনিরাপদ গর্ভপাত এবং এইচআইভি/এইডসের মতো অন্যান্য সমস্যা মাতৃত্বজনিত মৃত্যুর কারণ হিসেবে দেখা গেছে। ডব্লিউএইচও বলছে, এগুলোর প্রায় সবই প্রতিকার ও চিকিৎসাযোগ্য।

জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের প্রধান নাটালিয়া কানেম বলেন, বিনা কারণ এই নারী মৃত্যু একদমই অগ্রহণযোগ্য। পরিবার পরিকল্পনায় বিনিয়োগ করে আমাদের আরও ভাল অবস্থা তৈরি করা উচিত। বিশ্বজুড়ে ৯ লাখ ধাত্রী সংকটের সমাধানও করা সম্ভব।


আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩