আজ ঈদ
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর
এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতা নাফিজ সালাম উদয়কে
(৪৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তিনটি জঙ্গি মামলা ও একটি পুলিশ অ্যাসল্ট মামলার আসামি
উদয় আট বছর ধরে পলাতক ছিলেন।
সোমবার সকালে
র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ও সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
এএসপি মো. ফজলুল
হক জানান, নাফিস সালাম উদয় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ জঙ্গি
নেতা এবং দাওয়াতি ও অর্থ বিভাগের সক্রিয় সদস্য। তিনি তার পরিচয় গোপন রাখার জন্য দাড়ি
কেটে লেবাস পরিবর্তন করে কামরাঙ্গীরচরে ভাঙ্গারির ব্যবসা শুরু করেন। বিভিন্ন ছদ্মবেশ
ধারণ করে বিগত আট বছর ধরে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে থেকে জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম অব্যাহত
রাখেন।
গ্রেপ্তারকৃত
নাফিস সালাম উদয়ের বিরুদ্ধে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানায় তিনটি জঙ্গি তৎপরতার
মামলা এবং মোহাম্মদপুর থানায় একটি পুলিশ এ্যাসল্ট মামলা রয়েছে।
এছাড়া আদাবর থানার
একটি মামলায় তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
এএসপি ফজলুল হক
আরও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর জঙ্গি প্রতিরোধ সেলের একটি বিশেষ আভিযানিক
দল রবিবার বেলা সোয়া ৩টায় রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাফিজ সালাম
উদয়কে গ্রেপ্তার করে।
সন্ত্রাসবিরোধী
ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি নাফিজ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে
উগ্র জঙ্গিবাদী বই প্রচার ও তরুণ প্রজন্মকে জঙ্গিবাদে উৎসাহিত করে আসছিলেন। তিনি হিযবুত
তাহরীর বাংলাদেশ শাখার আমিরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন এবং অফলাইন ও অনলাইনের মাধ্যমে
হিযবুত তাহরীর গ্রুপ লিডারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে বিভিন্ন মসজিদে রাষ্ট্র ও
সরকারবিরোধী লিফলেট বিতরণ ও দাওয়াতি কাজ করতেন।
তার কাছ থেকে
পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের অন্য সদস্যদের
গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা
প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আদাবরের আব্দুস
সালামের ছেলে নাফিজ সালাম উদয় এইচএসসি পাস করে ২০০১ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়া
যান। কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেকনোলজির ওপর গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে ২০০৮ সালে দেশে ফিরে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
