Logo
শিরোনাম

হলিউডে কার কত আয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বদলে গিয়েছে বিনোদনের ধারা। সিনেমা এখন থিয়েটারের তুলনায় ওটিটিতে বেশি জনপ্রিয়। ইন্ডাস্ট্রি তাই বিভিন্নভাবে বদলে গিয়েছে। সেই সঙ্গে বদলেছে পারিশ্রমিকের হার ও পরিমাণ। বলা হয় টিভি অভিনেতারা দিনপ্রতি পারিশ্রমিকের দিকে ঝুঁকছেন। তবে খাত ভেদে পারিশ্রমিকে পার্থক্য হয়। অভিনেতা, পরিচালক ও ক্রুদের পারিশ্রমিকে পার্থক্য থাকবে সেটা তো জানা কথা। দেখা যাক কে কেমন আয় করে

অভিনেতা (২০-৪০ লাখ ডলার): তারকাদের বক্স অফিস বোনাস পাওয়ার দিন অনেক আগেই শেষ হয়েছে। অবশ্য টম ক্রুজের মতো তারকারা পেতে পারেন। কেননা তার টপ গান: ম্যাভেরিক বক্স অফিসে ১০০ কোটি ডলার আয় করেছে। ডিক্যাপ্রিওর মতো অভিনেতারা গড়ে ২০-৪০ লাখ ডলার আয় করেন। অন্যদিকে গ্লেন পাওয়েল, জোনাথন মেজর্সের মতো অভিনেতাদের আয় সিনেমাপ্রতি ১০-২০ লাখ ডলার। তবে সময় ভালো গেলে অর্থাৎ ক্যারিয়ার গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হলে ভালো আয় করা যায়। স্পাইডার-ম্যান ও ডুন অভিনেত্রী জেন্ডায়া বর্তমানে ভালো আয় করছেন এবং ইন্ডাস্ট্রির অভ্যন্তরীণ সূত্র থেকে জানা যায় চ্যালেঞ্জার্স সিনেমার জন্য তার পারিশ্রমিক ৮০ লাখ থেকে ১ কোটি ডলার হতে পারে। হ্যারি স্টাইলস ৫-১৫ লাখ ডলার ও স্বল্প পরিচিত অভিনেতারা ৫০ হাজার ডলার থেকে শুরু করেন। টেলিভিশনে একটা পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। সাধারণত গড়ে এপিসোডপ্রতি একজন অভিনেতা ৪০ হাজার ডলার নিলেও জনপ্রিয় অভিনেতা হলে ২-৩ লাখ ডলার দাবি করা নতুন কিছু না। স্ট্রিমিং সাইটের ক্ষেত্রে ওপরের দিকে থাকা তারকা অভিনেতারা ৫ লাখ ডলারও পেয়ে থাকেন।

পরিচালক (সাড়ে ৪ লাখ থেকে ২ কোটি): ডিরেক্টরস গিল্ড অব আমেরিকার নীতি অনুসারে নতুন একজন পরিচালক সাড়ে ৪ লাখ থেকে সাড়ে ৭ লাখ ডলার আশা করতে পারেন। প্রথম সিনেমাটি ভালো করলে এরপর ১০-২০ লাখের মধ্যে যেকোনো অংকের টাকা তারা পেতে পারেন। একাধিক সিনেমা ভালো করলে ৪০-৭০ লাখের প্রস্তাব করে স্ট্রিমিং সাইটগুলো, যেখানে স্টুডিওগুলো প্রস্তাব করে ২৫-লাখ ডলারের। খুব ভালো কাজ করতে থাকলে একটা সময় কোটির কোটায় যাওয়াও অসম্ভব নয়। হলিউডে ২ কোটি ডলার পর্যন্ত পারিশ্রমিক পাওয়া সম্ভব। সিনেমা ভালো ব্যবসা করলে বক্স অফিসের আয় থেকেও নির্দিষ্ট হারে বোনাস পেতে পারেন পরিচালক।

ফিচার লেখক (৭৫ হাজার থেকে ২০ লাখ): ফিচার বলতে এখানে গল্প লেখকদের কথাই বলা হচ্ছে। শুরুর দিকে তারা ৭৫ হাজার থেকে ১ লাখ ডলারের মতো পেয়ে থাকেন। মোটামুটি প্রতিষ্ঠিতরা পান দেড় থেকে ৬ লাখ। তারা আরো এগিয়ে গেলে ১০-২০ লাখ ডলার আয় করাও অসম্ভব নয়। তবে বক্স অফিস বোনাসের সঙ্গে লেখকদের সম্পর্ক নেই বললেই চলে।

টিভি সিরিজের লেখক (এপিসোডপ্রতি ১৫-৭৫ হাজার): টিভি সিরিজের জনপ্রিয়তা বহুদিন হলো তুঙ্গে। টিভি সিরিজের লেখকরা রাইটার্স গিল্ড আমেরিকার নীতি অনুসারে পারিশ্রমিক লাভ করেন। তারা সপ্তাহে ৭ হাজার ৬০০ ডলার থেকে শুরু করে ১২ হাজার ৫০০ ডলার পর্যন্ত আয় করেন। শো শুরু হলে তারা স্টাফ রাইটার হিসেবে সপ্তাহে ৪ হাজার ডলার থেকে শুরু করে পারিশ্রমিক লাভ করেন। এরপর একসময় স্টাফ রাইটাররা প্রতি এপিসোডের জন্য ১৫-২২ হাজার এবং জনপ্রিয় ও অভিজ্ঞ হলে ৪০-৭৫ হাজার ডলারও পেতে পারেন।

টিভির পরিচালক (দেড় থেকে পাঁচ লাখ): ডিরেক্টরস গিল্ড অব আমেরিকার নীতি অনুসারে পাইলট প্রজেক্টের জন্য পরিচালকরা পারিশ্রমিক লাভ করেন। শুরুটা হতে পারে ৩০-৬০ হাজার ডলারে। তবে জনপ্রিয় হয়ে উঠলে পারিশ্রমিকও বাড়তে থাকে। সেক্ষেত্রে পারিশ্রমিক হতে পারে আড়াই থেকে ৫ লাখ ডলার। তবে সে রকম পারিশ্রমিক লাভ করার বিষয়টি অবশ্যই সময়সাপেক্ষ। বলে রাখা ভালো, এ পারিশ্রমিক প্রতি এপিসোডের জন্য দেয়া হয়।

স্টুডিও প্রধান (২০ লাখ থেকে ২০ কোটির বেশি): স্টুডিওর প্রধানরা ৮০ লাখ থেকে শুরু করে ১ কোটি ২০ লাখ ডলার পারিশ্রমিক পেতে পারেন। লিগ্যাসি স্টুডিওগুলো অনেক ক্ষেত্রেই টার্গেট বোনাসের ওপর নির্ভর করে। অবশ্য এক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা একটি অন্যতম বড় বিষয়। ইনসেনটিভ আর স্টকের হিসাব বাদেই তারা মোটা অংকের আয় করেন। স্টুডিও মোশন পিকচার গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ৪০-৫০ লাখ ডলার আয় করেন। ফোকাস ও সার্চলাইট প্রধানের আয় ২০-৩০ লাখ ডলার।

এজেন্ট (৬৫ হাজার থেকে ৪০ লাখ): ‌পে আপ হলিউড আন্দোলনের সময় থেকে পারিশ্রমিক বাড়ানোর দাবি উঠেছিল। স্টাফরা ঘণ্টাপ্রতি ১৮-২০ ডলার চাইতেন। মেইল রুম থেকে যারা শুরু করে তাদের আয় শুরু হয় ৬৫-৭৫ হাজার ডলার থেকে। অন্যদিকে বেজ পার্টনারের আয় হতে পারে ৪-৬ লাখ ডলার। ২০২১ সালের হিসাবে আরি এমানুয়েলের পারিশ্রমিক ছিল ৪০ লাখ এবং টার্গেট বোনাস ৬০ লাখ ডলার।

নিউজ ট্যাগ: হলিউড

আরও খবর