রান তাড়ায় জয়ের
রেকর্ড গড়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বিপিএল নবম আসরের ৩২তম ম্যাচে রানের পাহাড় গড়েও
হার এড়াতে পারেনি খুলনা। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে
খুলনা টাইগার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে
২ উইকেট হারিয়ে ২১০ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় খুলনা। জবাব দিতে নেমে ১০ বল হাতে রেখেই
জয় পায় কুমিল্লা। বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয় এটি। এর আগে ২০৭ রান তাড়া
করে ঢাকা প্লাটুনকে হারায় খুলনা টাইগার্স।
সিলেট আন্তর্জাতিক
ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হয় খুলনা
টাইগার্স। টস জিতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস।
ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় ওভারেই ধাক্কা খেয়েছিলো খুলনা। দলীয় ১৩ রানেই ওপেনার মাহমুদুল
হাসান জয়কে ফেরান কুমিল্লার পাকিস্তানি পেসার নাসিম শাহ। এরপরের গল্পটা যেন শুধুই তামিম
ইকবাল আর শাই হোপের। তামিম আর হোপ মিলে তান্ডবলীলা চালিয়েছেন ভিক্টোরিয়ান্স বোলারদের
উপর। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুজনের ব্যাট থেকে ১০৪ বলে এসেছে ১৮৪ রান। দুজন সমানভাবেই
চড়াও হয়েছিলেন কুমিল্লার বোলারদের ওপর।
দুইজনই এগিয়ে
যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। তবে আক্ষেপ বাড়িয়ে ইনিংসের শেষ ওভারে গিয়ে ৯৫ রানে আউট হয়ে
সাজঘরে ফেরেন তামিম। ১১ চার আর ৪ ছক্কায় ৬১ বলে ৯৫ রান করেন তামিম। শাই হোপও ইনিংস
শেষ করেছেন নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে। আর কয়েকটি বল পেলে হয়তো সেঞ্চুরি পেতে পারতেন তিনি।
৫৫ বলে ৫ চার আর ৭ ছক্কায় ৯১ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন হোপ। তামিম-হোপের এই ব্যাটিং
তান্ডবে কুমিল্লার সামনে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেটে ২১০ রানের পাহাড় দাঁড় করায় খুলনা
টাইগার্স।
বড় লক্ষ্যে খেলতে
নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শফিকুল ইসলামের প্রথম বলে চার মারেন
লিটন দাস। কিন্তু পরের বলে হাতে চোট পান। ব্যথার যন্ত্রণা সঙ্গী করে মাঠ ছাড়তে দেখা
যায় লিটনকে। তিন নম্বরে খেলতে নেমে ভালো কিছু এনে দিতে পারেননি ইমরুল কায়েস। ৩ বলে
৪ রান করে কুমিল্লা অধিনায়ক আউট হন শফিকুল ইসলামের বলে। এরপরই কুমিল্লার ভাগ্যের চাকা
ঘুরাতে থাকেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও জনাথন চার্লস। মাত্র ২৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন
মোহাম্মদ রিজওয়ান। এই ব্যাটার ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৯ বলে ৭৩ রান করে আউট হন।
তার বিদায়ের পর
জ্বলে উঠে জনাথন চার্লসের ব্যাট। ইনিংসের শুরুর দিকে কিছুটা ধীরস্থির ছিলেন তিনি। ৩১
বল থেকে আসে কেবল ৩৪ রান। এরপরই ঝড় তোলার শুরু হয় চার্লসের। প্রথমে আমাদ বাটের ওভারে
২২ রান ও নাহিদুলের ওভারে ২৪ রান তিনি। শেষ অবধি এই ব্যাটার পেয়ে যান সেঞ্চুরির দেখা।
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় শতক তার। আগেরটিও ছিল বিপিএলেই, রংপুর রাইডার্সের হয়ে।
আজম খান, উসমান খান ও ইফতেখার আহমেদের পর চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে এবারের বিপিএলে সেঞ্চুরি
পেলেন চার্লস। ৫ চার ও ১১ ছক্কায় ৫৬ বলে ১০৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। বড় রান তাড়ায়
কুমিল্লা জয় পায় প্রায় ১০ বল হাতে রেখেই।