নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁর মান্দা, আত্রাই, রানীনগর, সাপাহার ও রাজশাহীর বাঘমারা, মোহনপুর উপজেলার ইটভাটায় সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে কয়লার পরিবর্তে গোটা-গোটা গাছ পুড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এইসব ভাটায় পরিবেশবান্ধব কোনো জিনিস নাই বলে জানা গেছে। সারা বছরেই কয়লার পরিবর্তে গাছ পুড়িয়ে চালাছে ভাটার মালিক।
জানা গেছে, জেলার কয়েকজন ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় কৃষকের ধানী আবাদি জমি লিজ নিয়ে নামে বেনামে এই ভাটাগুলো চালিয়ে আসছেন। ভাটায় গিয়ে দেখা যায়, টিনের ছোট একটি চিমনী ভাটার উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। চিমনীর চতুর দিকে রয়েছে কাঠ আর কাঠ। এছাড়া ভাটায় জ্বালানো কাঠগুলো টুকরো করার জন্য ইটভাটার শ্রমিক ও পাশেই রয়েছে স মিল। যা দিয়ে কাঠগুলোকে ছোট করে ভাটায় পুড়ানোর উপযোগী করা হয়।
এলাকার লোকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, আমাদের এলাকাটি কৃষিপ্রধান এলাকা। আমরা ওই এলাকায় বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করে সংসার চালাই। কিন্ত এই এলাকায় পরিবেশের ক্ষতিকর ইট ভাটা স্থাপন হওয়ায় অনেক ফসল চাষাবাদ করতে পারি না। এছাড়াও স্কুল ও কলেজের পাশ্বে ইটভাটা গড়ে উঠেছে এতে করে ছাত্র ছাত্রীদের স্বাস্থ্য ক্ষতির আশঙ্কা ও রয়েছে।
ইটভাটার মালিকদের সাথে কথা হলে তারা জানান, স্থানীয় ব্যক্তিদের ম্যানেজ করেই এই ভাটাগুলো চালিয়ে আসছেন তারা। তবে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য তিনি প্রতিবেদককে অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে রাজশাহী মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানওয়ার হোসেন সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে ইটভাটা আইন রয়েছে আইনকে অমান্য করলে ঘটনাস্থলে গিয়েই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।