Logo
শিরোনাম

ইভ্যালির বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | ১৯০০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

গ্রাহকের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে সময়মতো পণ্য সরবরাহ না করাসহ নানা অভিযোগে ইভ্যালির বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিষ্ঠান চারটি হচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

চিঠিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইভ্যালি ডটকমের চলতি সম্পদ দিয়ে মাত্র ১৬.১৪ শতাংশ গ্রাহককে পণ্য সরবরাহ করতে পারবে বা অর্থ ফেরত দিতে পারবে। বাকি গ্রাহক এবং মার্চেন্টের পাওনা পরিশোধ করা ওই কোম্পানির পক্ষে সম্ভব নয়।

এ ছাড়া গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছ থেকে নেওয়া ৩৩৮.৬২ কোটি টাকার কোনো হদিস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, যা আত্মসাৎ কিংবা অবৈধভাবে অন্যত্র সরিয়ে ফেলার আশঙ্কা রয়েছে।

ইভ্যালির ওপর করা বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পরিদর্শন প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে ৪ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এসব চিঠি পাঠায়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান আজ বুধবার গণমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে উঠে আসে ইভ্যালির মোট দায় ৪০৭ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম নিয়েছে ২১৪ কোটি টাকা, আর মার্চেন্টদের কাছ থেকে বাকিতে পণ্য নিয়েছে ১৯০ কোটি টাকার। স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিষ্ঠানটির কাছে কমপক্ষে ৪০৪ কোটি টাকার চলতি সম্পদ থাকার কথা। কিন্তু সম্পদ আছে মাত্র ৬৫ কোটি টাকা। এসব তথ্য উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, ইভ্যালির বিরুদ্ধে তদন্ত করে কোনো আর্থিক অনিয়ম পাওয়া গেলে দুদক যেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়। দুদক সূত্রে জানা গেছে, লকডাউন একটু শিথিল হলে সংস্থাটি তদন্তের কাজ করবে।

চলতি সম্পদ দিয়ে মাত্র ১৬ শতাংশ গ্রাহককে পণ্য সরবরাহ করতে পারবে ইভ্যালি। গ্রাহক ও মার্চেন্টদের পাওনা পরিশোধ করা ওই কোম্পানির পক্ষে সম্ভব নয়।

বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, আমরা ইভ্যালি নিয়ে তদন্ত করছি। এবারের চিঠির বিষয়বস্তুও তদন্তে কাজে লাগবে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল বলেন, আমরা টাকা পাচার করিনি, আত্মসাৎও করিনি। তবে ব্যবসার উন্নয়ন খাতে অর্থ ব্যয় করেছি। এ ছাড়া ডিসকাউন্টে পণ্য বিক্রি করেছি, বেতন-ভাতা নিয়েছি।

এর মধ্যে অন্তত পাঁচটি ব্যাংক ইভ্যালিসহ ১১টি ই-কমার্স কোম্পানির সঙ্গে কার্ডে লেনদেন থেকে গ্রাহকদের বিরত থাকতে বলেছে।


আরও খবর

এলপিজির দাম আরও বাড়ল

বৃহস্পতিবার ০২ নভেম্বর 2০২3