চীনের জিনজিয়াং
প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের প্রতি অত্যাচারের অভিযোগ উঠে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই। এ নিয়ে একাধিকবার
কথা বলেছে জাতিসংঘ। সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে একটি বিতর্কসভার আয়োজন
করতে খসড়া প্রস্তাব আনা হয়। তবে ওই প্রস্তাবে কোনো ভোটই দেয়নি ভারত। বর্তমানে দেশটির
সঙ্গে ভারতের দা-কুমড়া সম্পর্ক হলেও চীনের বিরুদ্ধে ভারতের ভোট না দেওয়াকে কূটনৈতিকভাবে
খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার
জাতিসংঘে এ নিয়ে ভোটের আয়োজন করা হয়। সেখানে মানবাধিকার কাউন্সিলের মোট ৪৭টি সদস্য
দেশের মধ্যে ১৭টি সদস্য দেশ ওই প্রস্তাবে সায় দিলেও ভেটো দেয় ১৯টি দেশ। যাদের মধ্যে
চীন অন্যতম। ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল ১১টি দেশ। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ভারত,
ব্রাজ়িল, মেক্সিকো এবং ইউক্রেন। ফলে জাতিসংঘে খারিজ হয়ে যায় এ খসড়া প্রস্তাব।
চীনের বিরুদ্ধে
ভোটে অংশ না নিলেও এ নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে ভারত। সেখানে বলা হয়, সব ধরনের মানবাধিকারের
পক্ষে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে ভারত মনে করে কোনো নির্দিষ্ট দেশের
বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনা যৌক্তিক নয়। এজন্য চাই নিরন্তর ও কার্যকর আলোচনা। জিনজিয়াংয়ের
উইঘুর স্বশাসিত অঞ্চলে মানবাধিকার যাতে লঙ্ঘিত না হয় তা দেখা উচিত। আশা করি, এ বিষয়ে
সংশ্লিষ্ট পক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
জাতিসংঘে খসড়া
প্রস্তাবটি খারিজ হয়ে যাওয়ার বিষয়টিকে নিজেদের জয় হিসেবেই দেখছেন চীনের মানবাধিকার
সংক্রান্ত বিভাগের প্রধান সোফি রিচার্ডসন। তবে এ নিয়ে কোনো বিবৃতি দেয়নি চীন।