ব্যাট
হাতে বেক্সিমকো ঢাকাকে বড় পুঁজি এনে দিয়েছেন সাব্বির-নাঈমরা। বল হাতে দুর্দান্ত
করেছেন রবিউল ইসলাম। একাই পাঁচ উইকেট নিয়েছেন অভিজ্ঞ এই বোলার। দুই বিভাগের দৃঢ়তায়
তারকাবহুল জেমকন খুলনাকে ২০ রানে হারিয়েছে মুশফিকুর রহিমের ঢাকা।
মিরপুর
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান
করে বেক্সিমকো ঢাকা। জবাবে ১৫৯ রানে অলআউট হয় জেমকন খুলনা। পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্যাচ
সেরা হয়েছেন ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করা সাব্বির রহমান।
বড়
লক্ষ্যের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় জেমকন খুলনা। রবিউল ইসলাম রবি
বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমের হাতে কাছে তুলে দেন জাকির হাসান।
এই
ম্যাচেও থিতু হতে পারেননি সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে থাকা
সাকিব এই ম্যাচে করেন মাত্র আট রান। এরপর মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে দলকে কিছুটা টানেন
ওপেনার জহুরুল অমি। ৩৫ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।
আশা
জাগিয়ে তোলা এই জুটির গতি থামান মুক্তার আলী। সাব্বিরের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে
যান মাহমুদউল্লাহ। ফেরার আগে ২৩ রান করেন খুলনার অধিনায়ক। মাহমুদউল্লাহর পর জহুরুল
(৫৩) পড়েন নাসুম আহমেদের ফাঁদে। সেই সঙ্গে ফিকে হয়ে যায় খুলনার জয়ের আশা। এরপর
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ১৫৯ রানে থেমে যায় জেমকন খুলনার ইনিংস।
এর
আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত শুরু করে ঢাকা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ঝড় তোলেন
ঢাকার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নাঈম। সাকিব আল হাসানের সেই ওভারে চারটি ছক্কা হাঁকান
নাঈম। দ্রুত গতিতে ছুটতে থাকা নাঈমকে চতুর্থ ওভারে থামান শহীদুল ইসলাম। ১৭ বলে ৩৬
রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন নাঈম।
এরপর
দ্বিতীয় উইকেটে প্রতিরোধ গড়েন আল আমিন ও সাব্বির। ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে থাকা
সাব্বির এই ম্যাচে দারুণ খেলেন। নিজের প্রথম বল থেকে খেলেন বেশ আগ্রাসীভাবে। আল
আমিনের সঙ্গে জুটি গড়ে ৬৪ রান তোলেন সাব্বির। ১১তম ওভারে আল আমিনকে ফিরিয়ে ওই জুটি
ভাঙেন নাজমুল ইসলাম অপু। ফেরার আগে ফেরার আগে ২৫ বলে ৩৬ রান তোলেন তিনি।
তবে
রান বন্যার ইনিংসে থিতু হতে পারেননি ছন্দে থাকা মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলী
রাব্বি। নিজের স্পেলের শেষ ওভারে মুশফিককে আউট করেন মাশরাফী। আর রান আউট হয়ে ফেরেন
ইয়াসির।
এরপর
সাব্বিরের সঙ্গে জুটি বাঁধেন আকবর আলী। মাঠে নেমেই নাজমুল ইসলাম অপুর স্পেলের শেষ
ওভারে চমক দেখান আকবর। ওই ওভারে নাজমুলকে চার ছক্কা হাঁকান আকবর। ঠিক ৩১ রানের
মাথায় মাশরাফীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।
এর
মধ্যে ৩৫ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন সাব্বির। হাফসেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ
টিকতে পারেননি। ৫৬ রানে সাব্বিরের প্রতিরোধ ভাঙেন শহীদুল। ৩৮ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল
পাঁচ বাউন্ডারি ও তিন ছক্কা। এরপর শেষের দিকে মুক্তারদের ব্যাটে চড়ে শেষ পর্যন্ত
১৭৯ রানে থামে ঢাকা।
খুলনার
হয়ে বল হাতে সবচেয়ে খরুচে বোলিং করেছেন প্রথমবার সুযোগ পাওয়া নাজমুল অপু। চার
ওভারে ৫১ রান খরচায় একটি উইকেট নিয়েছেন। সমান চার ওভার করে মাত্র ২৬ রানে একটি
উইকেট নিয়েছেন মাশরাফী। শহীদুল নিয়েছেন দুটি উইকেট।
সংক্ষিপ্ত
স্কোর
বেক্সিমকো
ঢাকা : ২০ ওভারে
১৭৯/৭ (নাঈম ৩৬, সাব্বির ৫৬, আল আমিন ৩৬, মুশফিক ৩, ইয়াসির ০, আকবর ৩১,
মুক্তার ৬, রবিউল ১, নাসুম ৫; সাকিব ৩-০-৩৬-০, নাজমুল ৪-০-৫১-১, মাশরাফী ৪-০-২৬-১,
শহীদুল ৪-০-৩১-২, শুভাগত ১-০-১১-০)।
জেমকন
খুলনা : ১৯.৩ ওভারে
১৫৯/১০(জহুরুল ৫৩, জাকির ১, সাকিব ৮, মাহমুদউল্লাহ ২৩, মাশরাফী ১, আরিফুল ৭, শামীম
২৪, শুভগত ৫, শহীদুল ৮, হাসান ১৫, নাজমুল ৪ ; রুবেল ৪-০-৩০-২, নাসুম ৪-০-২৮-১,
মুক্তার ৪-০-৩৫-১, রবিউল ৩.৩-০-২৭-৫, শফীকুল ৪-০-৩০-০)।