Logo
শিরোনাম

কাতার বিশ্বকাপ: হতাহত শ্রমিকের তালিকা করার নির্দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ১১৬০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে ২০১০ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত কাতারে ১১টি স্টেডিয়াম, রাস্তা, হোটেল ও অন্যান্য অবকাঠামোর নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে বাংলাদেশের কতজন অভিবাসী নির্মাণ শ্রমিক হতাহত হয়েছেন, তা নিরূপন ও তালিকা করার পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

পররাষ্ট্র সচিব, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, কাতারে বাংলাদেশ দুতাবাস, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন প্রধানকে এ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এক আইজীবীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানির পর সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের দ্বৈত বেঞ্চ।

২০১০ সাল থেকে গত বছর অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ পর্যন্ত কাতারে এসব নির্মাণে যুক্ত অভিভাসী বাংলাদেশি নির্মাণ শ্রমিকের তালিকা তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। সেই সঙ্গে কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ কেন্দ্রিক নির্মাণকাজে করতে গিয়ে আনুমানিক সাড়ে চার শ অভিবাসী নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যুর যে অভিযোগ উঠেছে, তা সত্যি হলে এর মধ্যে বাংলাদেশের কতজন নির্মাণ শ্রমিক রয়েছেন, সে তথ্য সংগ্রহ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

এ ছাড়া কাতার বিশ্বকাপ কেন্দ্রিক বিভিন্ন নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে অভিবাসী বাংলাদেশি নির্মাণ শ্রমিক হাতহত হয়ে থাকলে তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

পররাষ্ট্র সচিব, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, কাতারে বাংলাদেশ দুতাবাস, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন প্রধান, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ফিফা), কাতারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (ইন্টেরিয়র) ও শ্রমমন্ত্রীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী মাসুদ রেজা সোবহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও সহকার অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আবুল কালাম খান (দাউদ)।

কাতার বিশ্বকাপের আয়োজনের মধ্যে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ ইংরেজি দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান’ একটি বিশেষ প্রতিবেদন ছাপে। কাতারে বিশ্বকাপ, ১০ বছরে সাড়ে ৬ হাজার শ্রমিকের মৃত্যু’ শিরোনামের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বিশ্বকাপ আয়োজনের গৌরব অর্জনের পর থেকে কাতারে প্রতি সপ্তাহে গড়ে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

পাকিস্তান বাদে ৪টি দেশে গার্ডিয়ানের নির্ভরযোগ্য সূত্র ও দেশগুলোর সরকারি হিসাব তুলে ধরে বলা হয়েছে, ২০১১ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ৫ হাজার ৯২৭ জন প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে মৃত বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা ১ হাজার ১৮। কাতারে পাকিস্তানের দূতাবাস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ সময়ে ৮২৪ জন পাকিস্তানি শ্রমিক মারা গেছেন মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশে।


আরও খবর