Logo
শিরোনাম

কাতার বিশ্বকাপে সর্বাধিক ব্যয় করছে চীনা প্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৬৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কাতার বিশ্বকাপে সামনের সারিতে রয়েছে চীনের বিজ্ঞাপনদাতারা। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি হাইসেন্স থেকে শুরু করে রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার ডালিয়ান ওয়ান্ডা গ্রুপ পর্যন্ত বিজ্ঞাপন ও স্পন্সরশিপের জন্য মোট ১৩৯ কোটি ডলার ব্যয় করেছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে ফিফা বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ব্যয়কারী হয়ে উঠেছে চীনা ব্র্যান্ডগুলো।

নিক্কেই এশিয়ার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাতার বিশ্বকাপের শুরুর দিকের খেলাগুলোয় একটি বিজ্ঞাপনের ব্যানারে চীনা অক্ষরে লেখা নাম্বার ওয়ান ইন চায়না, নাম্বার টু ইন দ্য ওয়ার্ল্ড লেখাটি অনেক দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। হাইসেন্সের বিজ্ঞাপনটির মাধ্যমে স্পষ্টতই বোঝা যায়, টিভি বিক্রিতে প্রতিষ্ঠানটি চীনে শীর্ষ এবং বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম অবস্থানে রয়েছে। তবে বাজার অংশীদারত্ব নিয়ে সমালোচনার কারণে প্রতিষ্ঠানটি বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে নিয়েছিল। পরিবর্তে প্রতিষ্ঠানটি এখন নতুন বার্তা দিচ্ছে, মেড ইন চায়না, লেটস ওয়ার্ক হার্ড টুগেদার

চীনা সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, কাতার বিশ্বকাপে ওয়ান্ডা গ্রুপ শীর্ষ ব্যয় করা প্রতিষ্ঠান বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংস্থাটি ২০১৬ সালে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার সঙ্গে ১৫ বছর মেয়াদি স্পন্সরশিপ চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। সংস্থাটি ২০১৫ সালে শীর্ষস্থানীয় স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের ২০ শতাংশ অংশীদারত্ব কিনে নিয়েছিল এবং ফুটবল ও বিদেশী কার্যক্রম সম্প্রসারিত করেছিল। তবে গত কয়েক বছর চীনা অন্যান্য আবাসন প্রতিষ্ঠানের মতো ওয়ান্ডাও সংকটে রয়েছে। চলতি বিশ্বকাপে ওয়ান্ডা গ্রুপ ফিফার সাতটি অংশীদার প্রতিষ্ঠানের একটি। সংস্থাটি এখন স্কিসহ ভ্রমণ ব্যবসার প্রচার চালাচ্ছে।

তিনটি চীনা প্রতিষ্ঠান হাইসেন্স, খাদ্য উৎপাদনকারী মেংনিউ ডেইরি ও স্মার্টফোন জায়ান্ট ভিভো কাতার বিশ্বকাপে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে। এছাড়া অনলাইনভিত্তিক জনবল নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান জিপিন ও বিদ্যুচ্চালিত মোটরসাইকেল নির্মাতা ইয়াদেয়াও বিশ্বকাপ স্পন্সরশিপে ব্যয় করা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে। সব মিলিয়ে স্পন্সরশিপ ও বিজ্ঞাপনে ছয়টি চীনা প্রতিষ্ঠান কাতার বিশ্বকাপে ব্যয় করছে। এ সংখ্যা ২০১৮ সালে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের চেয়ে একটি কম। তবে প্রতিষ্ঠান কমলেও তাদের ব্যয়ের পরিমাণ বেড়েছে। এবার সংস্থাগুলো ১৩৯ কোটি ডলার ব্যয় করেছে। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যয়ের পরিমাণ ১১০ কোটি ডলার।

আন্তর্জাতিক কার্যক্রম প্রচারের জন্য চীনা কোম্পানিগুলো কাতার বিশ্বকাপে বিপুল পরিমাণ ব্যয় করছে। একটি বিজ্ঞাপন সংস্থার একজন জ্যেষ্ঠ নির্বাহী বলেন, চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো কিন্তু স্থানীয় ভাষায় বিজ্ঞাপনগুলো প্রচার করছে। সুতরাং তাদের লক্ষ্য চীনা দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ। এর মাধ্যমে চীনা ভোক্তাদের বার্তা দেয়া হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বমানের ব্র্যান্ড। ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্যয়ের ক্ষেত্রেও শীর্ষে ছিল চীনা প্রতিষ্ঠান। সে সময় প্রতিষ্ঠানগুলো ৬৫ কোটি ৫৭ লাখ ডলার ব্যয় করেছিল। বিশ্বকাপ আয়োজন ঘিরে কাতার প্রায় ২২ হাজার কোটি ডলারের পরিকাঠামো প্যাকেজ হাতে নিয়েছিল। ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে যে পরিমাণ খরচ করা হয়েছিল, তার চেয়ে কাতারে ২০ গুণ বেশি ব্যয় করা হচ্ছে। যেখানে রাশিয়া বিশ্বকাপে ১ হাজার ১৬০ কোটি এবং ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপের খরচ ধরা হয়েছিল প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার।

নিউজ ট্যাগ: কাতার বিশ্বকাপ

আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩