Logo
শিরোনাম

‘কবরের অভিজ্ঞতা’ নিতে মাটির নিচে ইউটিউবার, অতঃপর আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৯৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বগুড়ার শাজাহানপুরে কবরের অভিজ্ঞতা ভিডিও করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউবে ভাইরাল করার চেষ্টার অভিযোগে পুলিশ দুই ইউটিউবার ভাইকে গ্রেফতার করেছে। শাজাহানপুর থানা পুলিশ সোমবার সকালে উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করে।

ডিপ্লোমা প্রকৌশলী দুই ভাই ২৪ ঘণ্টা কবরে থেকে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে চেয়েছিলেন। ঘটনাটি শুধুই ওই উপজেলায় নয়; পুরো বগুড়া জেলায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

শাজাহানপুর থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, অভিভাবকদের কাছে মুচলেকা নেওয়ার পর তাদের ১৫১ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

বিকালে কোর্ট ইন্সপেক্টর সুব্রত ব্যানার্জী জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিনিয়া জাহান তাদের বগুড়া জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন।

তারা হলেন- বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের মোকছেদ আলীর বড় ছেলে বগুড়া সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ডিপ্লোমা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আবু হাসান মিলন (২৮) ও ছোট ছেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ডিপ্লোমা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর রহমান রনি (২৪)।

বগুড়ার শাজাহানপুর থানার এসআই শামীম হাসান ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সহোদর আবু হাসান মিলন ও মিজানুর রহমান রনি ইউটিউবার। তারা কবরে ২৪ ঘণ্টা থেকে বিশ্বরেকর্ড ও অভিজ্ঞতা ইউটিউবে শেয়ার করে ব্যাপক ভাইরালের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তারা পরিবারের সম্মতিতে বাড়ির উঠানে কবর খনন করেন। ভিতরে অক্সিজেন ও আলো-বাতাস সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বৈদ্যুতিক বাল্ব ও উপরে ফ্যান স্থাপন করেন। এছাড়া ভিতরে দরজার পাল্লা ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য সরঞ্জাম রাখা হয়।

রোববার (২১ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে মিজানুর রহমান রনি ক্যামেরা ও পানির বোতল নিয়ে কবরে প্রবেশ করেন। বড়ভাই আবু হাসান মিলন মাটিচাপা দিয়ে কবরের ওপরের অংশ ঢেকে বাহিরের দৃশ্য ভিডিও করেন। প্রায় ১১ ঘণ্টা পর সোমবার সকালে ঘটনাটি জানাজানি হলে গ্রামবাসীদের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে শাজাহানপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় কবরের মাটি সরিয়ে ফেলে রনিকে উদ্ধার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুই ভাই পুলিশকে জানান, তারা কবরের ভিতরে ২৪ ঘণ্টা অবস্থান করে বিশ্বরেকর্ড গড়তে চেয়েছিলেন। এছাড়া মৃত্যুর পর কবরের ভিতরের অভিজ্ঞতা ভিডিও করে তা ইউটিউবে আপ করে ব্যাপক ভাইরাল (লাইক, কমেন্টস ও শেয়ার) করাতে চেয়েছিলেন। এতে তাদের মৃত্যু বা অন্য কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো সে কারণে পুলিশ দুই ভাইকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। এর আগে পরিবারের কাছে মুচলেকা নেওয়া হয়।

বাবা মোকছেদ আলী ও স্বজনরা জানান, রনি অনেক আগে থেকেই ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে কাজ করেন। তিনি হেঁটে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত গিয়েছিলেন।

শাজাহানপুর থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, দুই ভাইকে দুপুরে ১৫১ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিনিয়া জাহান তাদের জামিন নামঞ্জুর করে বগুড়া জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন।


আরও খবর