Logo
শিরোনাম

খালেদা জিয়াও বর্তমানে মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত: ফখরুল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ ডিসেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | ১৩২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও বর্তমানে মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, 'আপনারা জানেন আমাদের দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী, মানুষের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক, স্বাধীনতা-সার্বেভৌমত্বের প্রতীক। তিনিও আজকে তার মানবাধিকার, ন্যূনতম যে অধিকার, তার চিকিৎসার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।'

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকসোরে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ অভিযোগ করেন।

স্বাধীনতার সূর্বণ জয়ন্তী উদযাপনে বিএনপির জাতীয় কমিটি এই সেমিনারের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে যুক্ত হয়েছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

ফখরুল বলেন, 'আজকে এখানে আপনারা গুম হওয়া পরিবারের কথা শুনেছেন। গত ৮ বছর ধরে আমরা এই পরিবারগুলোর কান্না শুনেছি, আমরা শিশুদের কান্না শুনেছি। এখনো তাদের (গুমের শিকার ব্যক্তি) শিশুরা অপেক্ষা করে থাকে কখন তার বাবা ফিরে আসবে। এ রকম একটা ভয়াবহ মর্মস্পর্শী পরিস্থিতির মধ্যে আমরা আছি। বাংলাদেশে আমরা যারা আছি, আমাদের বারবার এ কথা বলার আর প্রয়োজন নেই যে, বাংলাদেশে কীভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।'

'একটা কথা খুব পরিষ্কার মানবাধিকার ও গণতন্ত্র এই দুইটা পরস্পরের পরিপূরক। গণতন্ত্র ছাড়া মানবাধিকার কোনো দিন রক্ষা হতে পারে না, আর মানবাধিকার ছাড়া কখনো গণতন্ত্র চলতে পারবে না। এখানে যে মানবাধিকার ও হিউম্যান রাইটস বডিগুলো আছে তাদের হিসাবে কয়েক বছরের মধ্যে আমরা দেখছি, প্রায় ৬০৭ জন গুম হয়ে গেছে। আমরা দেখছি যে, আমাদের প্রায় সহাস্রাধিক রাজনৈতিক কর্মী তারা নিহত হয়েছেন, তাদের হত্যা করা হয়েছে। ৩৫ লাখ মানুষের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা। ঢাকা কোর্টে যান, জেলা আদালতগুলোতে যান দেখবেন যারা আসামি হয়ে আসছেন, তাদের বেশির ভাগই বিএনপির নেতা-কর্মী'বলেন ফখরুল।

তিনি আরও বলেন, 'প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে দলীয়করণ করে ফেলা হয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা হচ্ছে, গণমাধ্যমকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলা হয়েছে। বলতে কোনো দ্বিধা নেই, আজকে যারা গণমাধ্যম কর্মী আছেন তারা সবচেয়ে অসহায় অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। ডিজিটাল সিকিউরিটির অ্যাক্টের মাধ্যমে এখন কথা বলার স্বাধীনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেছেন, আমি আগে একটা বাক্য খুব দ্রুত লিখতে পারতাম। কিন্তু এখন একটা বাক্য লিখতে ৭ দিন সময় লাগে। বারবার চিন্তা করতে হয় আমি যে বাক্যটা লিখবো, যে শব্দগুলো লিখবো এর একবারের জন্য বিপদ না ডেকে আনে। আমাদের মূলকথা আমাদের গণতন্ত্র সম্পূর্ণভাবে হরণ করা হয়েছে।'

এই অবস্থা থেকে উত্তরণে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে 'জাতীয় ঐক্য' সৃষ্টি করার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।


আরও খবর