কিংবদন্তি অভিনেতা
হুমায়ুন ফরিদীর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি না ফেরার দেশে চলে
যান তিনি। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই গুণী অভিনেতাকে স্মরণ
করে থাকেন।
সত্তর দশকের মধ্যভাগে
মঞ্চ আর টিভি নাটকের মধ্য দিয়ে অভিনয় জীবনের যাত্রা শুরু তাঁর। পরে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন
ও মঞ্চে অভিনয় করে অসংখ্য ভক্তের মনে চিরস্থায়ী আসন করে নেন তিনি। নায়ক কিংবা খলনায়ক-
সব চরিত্রেই সমান পারদর্শিতা দেখিয়েছেন হুমায়ুন ফরীদি।
দেশের বিনোদন
জগতের শক্তিমান একজন অভিনেতা ছিলেন হুমায়ুন ফরিদী। নিজের চরিত্রকে অসাধারণভাবে ফুটিয়ে
তুলতেন তিনি। দর্শকরাও হারিয়ে যেতেন সেই অভিনয়ের মায়া জালে। তিনি দাপটের সঙ্গে খল চরিত্রে
অভিনয় করলেও ইতিবাচক চরিত্রেও তার অভিনয় ছিল অতুলনীয়।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
পড়াকালীন বাংলাদেশে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। দেশকে স্বাধীন করতে যুদ্ধে যোগ দেন হুমায়ুন
ফরিদী। যুদ্ধ শেষে স্বাধীন দেশে পড়াশুনা সম্পন্ন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে তিনি সেলিম আল দীন সহচার্যে আসেন। সেলিম আল
দীনের ‘শকুন্তলা’ নাটকের তক্ষক চরিত্রে তিনি প্রথম
অভিনয় করেন। ১৯৮২ সালে তিনি ‘নীল নকশার সন্ধানে’
নাটকে অভিনয় করেন। এটি ছিল তার প্রথম টেলিভিশন নাটক।
এরপর একে একে
অভিনয় করেছেন ‘ভাঙ্গনের শব্দ
শোনা যায়’, ‘সংশপ্তক’, ‘দুই ভাই’, ‘শীতের পাখি’ এবং ‘কোথাও কেউ নেই’- এর মত দর্শকপ্রিয় নাটকে।
‘হুলিয়া’, ‘জয়যাত্রা’, ‘শ্যামলছায়া’, ‘একাত্তরের যিশু’, ‘আনন্দ অশ্রু’সহ অনেক সিনেমাতে অভিনয় করেছিলেন
তিনি।
এক দশকের
বেশি সময় তিনি রুপালি পর্দায় অভিনয় করেন। অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ
নানা সম্মাননায় ভূষিত হন তিনি।