লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে বিভিন্ন শ্রেণির সরকারি পাঠ্যবইভর্তি একটি পিকআপসহ মোশারেফ হোসেন ও বিশাল চৌধুরী নামে দু’ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়নের হাজিপাড়া আল আরাফা দারুল উলুম দাখিল মাদরাসা থেকে পাচারকালে পুলিশ বইভর্তি পিকআপটি জব্দ করে।
আটক মোশারেফ বইয়ের
ক্রেতা ও তিনি ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকার ব্যবসায়ী। বিশাল চৌধুরী পিকআপচালক।
জানা যায়, শনিবার
দুপুরে উপজেলার হাজিপাড়া আল-আরাফা দারুল উলুম দাখিল মাদরাসা থেকে পাচারকালে এলাকাবাসী
বইভর্তি একটি পিকআপ আটক করেন। এ সময় পিকআপে মাদরাসার বিভিন্ন শ্রেণির নতুন শিক্ষাবর্ষের
(২০২২ সালের) বই দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন এলাকাবাসী। পরে পুলিশ গিয়ে পিকআপটি জব্দ
করে ও দু’জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
বইয়ের ক্রেতা
মোশারেফ হোসেন জানান, আল-আরাফা দারুল উলুম মাদরাসার সুপার মাওলানা মোহাম্মদ নুরুল আমিন
বৃহস্পতিবার তার ব্যক্তিগত মোবাইলফোনে কল দিয়ে পুরোনো কাগজ ক্রয়ের প্রস্তাব দেন। সে
অনুযায়ী শনিবার তিনি পিকআপ নিয়ে ওই মাদরাসায় যান। পরে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে মাদরাসার
সহকারী শিক্ষক ও সুপারের ভাগিনা মোহাম্মদ সোলাইমান অফিস কক্ষের তালা খুলে বইগুলো (প্রায়
৪০০ কেজি) পিকআপে তুলে দেন।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ
এলাকাবাসী জানায়, মাদরাসা সুপার শিক্ষাবর্ষের শুরুতে সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওয়া বইগুলো
শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ না করে মাদরাসায় মজুদ রাখেন। পরে বইগুলো তিনি গোপনে বিক্রি
করে দেন। এর আগেও তিনি একইভাবে সরকারি বই বিক্রিকালে এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়েন। পরে
প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তিনি পার পান।
মাদরাসার সহকারী
শিক্ষক ও সুপারের ভাগিনা মোহাম্মদ সোলাইমানের সাথে বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা
সম্ভব হয়নি।
মাদরাসা সুপার
নুরুল আমিনের দাবি, ঘটনার সময় তিনি মাদরাসায় ছিলেন না। বই বিক্রির সাথে তিনি সম্পৃক্ত
নন।
কমলনগর থানার
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, আটক পিকআপভর্তি সরকারি বই ও দু’ব্যক্তি
থানা হেফাজতে আছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা
আব্দুল মতিন জানান, এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। ওই কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী
দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।