Logo
শিরোনাম

কুমিল্লায় ‘কোরআন উদ্ধার’ ঘিরে উত্তেজনা : পূজামণ্ডপে হামলা

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | ২৭৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কুমিল্লায় শহরের একটি পূজামণ্ডপ থেকে পবিত্র 'কোরআন উদ্ধার'-ঘটনার পর বেশ কয়েকটি পূজামণ্ডপে হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার পূজা উদযাপন কমিটির সম্পাদক নির্মল পাল।

তিনি বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছে, শহরের নানুয়ারদীঘি এলাকার একটি পূজামণ্ডপের প্রতিমায় কোরআন রাখার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশ গিয়ে তা উদ্ধার করে এবং এরপর পরই একদল ব্যক্তি বেশ কিছু পূজামণ্ডপে হামলার চেষ্টা চালায়।

"পূজা বানচালের জন্য পরিকল্পিতভাবে কোরআন রেখে এ ঘটনা ঘটিয়ে তারাই এখন শহরজুড়ে পূজাবিরোধী বিক্ষোভ করছে। কয়েকটি মণ্ডপে হামলার চেষ্টা হয়েছে কিন্তু পুলিশের বাধায় ভেতরে ঢুকতে না পারলেও গেইট বা সামনের স্থাপনা ভাংচুর করেছে," বলে জানিয়েছেন তিনি।

জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন তারা এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। "আমরা টহল দিচ্ছি। আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। কয়টি মণ্ডপে হামলার চেষ্টা হয়েছে এ মূহুর্তে বলতে পারছি না। পরিস্থিতি ঠিক হলে আমরা বিস্তারিত জানাবো," বেলা চারটার দিকে সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যবসায়ী সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন বেলা এগারটার দিকে হঠাৎ কোরআন অবমাননা হয়েছে, এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে শহর জুড়ে।

তিনি বলেন দশটার পর নানুয়ারদীঘির মণ্ডপে কোরআন নজরে পড়লে দ্রুত পুলিশকে জানানো হয় এবং পুলিশ তখনি এসে কোরআনটি সরিয়ে নেয়।

"কিন্তু খবরটি খুব দ্রুত ছড়ানো হয় এবং কয়েকটি মাদ্রাসার লোকজন ছাড়াও স্থানীয় অনেকে প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে সেখান থেকে মণ্ডপ গুলোতে হামলা করা শুরু হলে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়"।

তিনি বলেন কয়েকটি গুলির শব্দ শোনা গেলেও সেগুলো কোথায় হয়েছে তা বোঝা যায়নি।

এদিকে ঘটনার পরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোরআন অবমাননা করা হয়েছে দাবি করে ব্যাপক প্রচার শুরু হয় এবং অনেকে প্রতিবাদ বিক্ষোভ অনেকে ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করেন।

প্রসঙ্গত, বাঙ্গালী হিন্দু সম্প্রদায় এখন তাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করছে।

তথ্য সূত্র: বিবিসি বাংলা



আরও খবর