Logo
শিরোনাম

লাশের হাড্ডিটা যদি পাওয়া যেতো!

প্রকাশিত:রবিবার ১১ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | ১৬৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রূপগঞ্জের হাশেম ফুডস কারাখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড এমন দুর্ঘটনা এদেশে একেবারে অভিনব নয়। এটাকে কি দুর্ঘটনা বলা যায়। অবহেলাজনিত মৃত্যু? নাকি হত্যাকাণ্ড। জরুরি বের হওয়ার কোন সিঁড়ি ছিল না কারখানাটিতে।

আগুন নেভানোর সিলিন্ডার বা যন্ত্রপাতি বা ফায়ার এলার্ম ছিল না কিছুই। সবচেয়ে বড় কথা প্রতিটি তলার দরজা ছিল তালাবদ্ধ। না হলে আরও শ্রমিক বের হতে পারতেন। তাহলে এটি কি একটি মৃত্যুফাঁদ ছিল। সরকারি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ এরইমধ্যে এ ঘটনায় মালিকপক্ষের সম্ভাব্য দোষীদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়? সরকারি কর্তৃপক্ষের যাদের এই কারাখানার কর্মপরিবেশ, অগ্নিনির্বাপণ এবং জরুরি বের হওয়া ব্যবস্থা, শিশু শ্রম দেখার কথা ছিল তারা কি সেটা দেখেছেন? এই অবহেলায় দায়ীদের কি আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো পদক্ষেপ কি নেয়া হবে সব কারাখানার কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে? মালিকরা কি দুঃখজনক এই অবস্থাতেও একবার ভাববেন, প্রতিটি শ্রমিকের জীবনও মূল্যবান। তাদেরও স্বাভাবিক জীবনের গ্যারান্টি প্রয়োজন। প্রয়োজন মর্যাদার সঙ্গে কাজ করার। সেদিন কি কখনও আসবে?

এই ধরনের ঘটনা এদেশে অভিনব নয়। অফিসিয়ালি এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৫২। কিন্তু অসহায় মানুষ তাদের প্রিয়জনের লাশটাও বুঝে পাচ্ছেন না। কারণ কারও চেহারাই চেনার উপায় নেই। অপেক্ষা করতে হবে ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার ফলের জন্য। নতুন এই পরিস্থিতিতে স্বজনরা হাজির হয়েছেন মর্মান্তিক এক দাবি নিয়ে। বাবা বলছেন, কন্যার হাড্ডিটাও যদি পাওয়া যেতো।


আরও খবর