Logo
শিরোনাম

লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ১৫৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে স্ত্রী মমতাজ বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী বশির মিস্ত্রিকে (৬০) আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত তাকে অর্থদণ্ডও দেন। বুধবার (২৩ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, স্ত্রী হত্যার ঘটনা আদালতে বশির দোষী সাব্যস্ত হন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত বশির রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের চরগাজী ইউনিয়নের দক্ষিণ টুমচর (আদর্শ গ্রাম) গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে নোয়াখালী জেলার চরজব্বার ইউনিয়নের চরপানা উল্যা গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে মমতাজকে বশির বিয়ে করেন। এটি বশিরের দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। প্রথম সংসারে তার দুই ছেলে ও চার মেয়ে ছিল। বশির-মমতাজের সংসারেও হোসেন আহম্মদ ও আপন নামে দুই ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে মমতাজকে বশির মারধর করতো। ঘটনাগুলো মীমাংসার জন্য স্থানীয়ভাবে একাধিকার সালিশ বৈঠকও হয়। এরপরও মমতাজকে মারধর বন্ধ হয়নি। বিভিন্ন সময় মমতাজ পরিবারের লোকজনকে ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করতো। বশিরের আগের সংসারের ছেলেমেয়েরাও মমতাজকে ভালো চোখে দেখতো না।

এদিকে পারিবারিক কলহের জের ধরেই পূর্বপরিকল্পিতভাবে ২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে মমতাজকে বশির ঘর থেকে ডেকে বাড়ির অদূরে সয়াবিন ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করেন। মমতাজের ডান গাল ও গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। পরে বশির সেখান থেকে স্থানীয় টাংকি বাজারে যান। সেখান থেকে ফিরে বাড়িতে স্ত্রীকে খোঁজার নাটক করেন। নিজেই সয়াবিন ক্ষেতে লাশ খুঁজে নিয়ে প্রচার করে কে বা কারা মমতাজকে হত্যা করেছে। কিন্তু ঘটনাটি সন্দেহজনক হওয়ায় স্থানীয়রা তাকে আটক করে। পরে পুলিশ তাকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়।

পরদিন মমতাজের ভাই মো. জসিম বাদী হয়ে বশির ও অজ্ঞাত চার জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০১৭ সালের ১৪ জানুয়ারি রামগতি থানা পুলিশ আদালতে বশিরের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি ও ৮ জনের সাক্ষী শেষে আদালত এ রায় দেন।


আরও খবর