Logo
শিরোনাম

মধ্য আফ্রিকায় বাংলাদেশি তিন শান্তিরক্ষী নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৮০০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি বিস্ফোরণে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে নিয়োজিত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে কর্মরত তিন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছে।

নিহত শান্তিরক্ষীরা হলেন সৈনিক জসিম উদ্দিন, তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়; নীলফামারীর সৈনিক জাহাংগীর আলম এবং সিরাজগঞ্জের সৈনিক শরিফ হোসেন। এতে টহল কমান্ডার মেজর আশরাফুল হক আহত হন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সোমবার রাত ১টা ৩৫ মিনিটে আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনার সময় তারা গুরুতর আহত হন।

আইএসপিআর জানায়, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের পশ্চিম সেক্টরে বোয়ার এলাকায় মোতায়েন ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন (ব্যানব্যাট-৮)। ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর থেকে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত তারা। দুর্গম এলাকায় মোতায়েন অন্যতম অস্থায়ী ক্যাম্প কুই থেকে পরিচালিত যান্ত্রিক টহলের একটি দল মেজর আশরাফের নেতৃত্বে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কাইতা এলাকায় টহলে যায়।

বাংলাদেশ সময় রাত ১টা ৩৫ মিনিটে টহল কমান্ডার মেজর আশরাফকে বহনকারী প্রথম গাড়িটি মাটিতে পুতে রাখা আইইডি বিস্ফোরণে পড়ে। এতে গাড়িটি প্রায় ১৫ ফুট দূরত্বে ছিটকে যায়। ঘটনাস্থলেই সৈনিক শরিফ, জাহাংগীর ও জসিম মারাত্মকভাবে আহত হন বলে জানায় আইএসপিআর।

ঘটনার পর পরই আহত শান্তিরক্ষীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য দুর্গম এলাকা, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং ঘন অন্ধকারের মধ্যে উদ্ধার তৎপরতার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেয়া হয় বলে জানায় আইএসপিআর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিশন সদর, জাতিসংঘ সদর এবং সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তাদের ১৪৪ কিলোমিটার দূরে বোয়ার এ অবস্থিত মিনুসকা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানেই বাংলাদেশ সময় সাড়ে ১১টা থেকে ১২টা ৫ মিনিটের মধ্যে কর্তব্যরত চিকিৎসক সৈনিক জসিম, জাহাংগীর ও শরিফ মৃত ঘোষণা করেন।

আরেক আহত শান্তিরক্ষী মেজর মো. আশরাফুল হক চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানানো হয়।

আইএসপিআর জানায়, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে নিয়োজিত অন্যান্য শান্তিরক্ষীরা এখন নিরাপদে আছেন। সেনাসদস্যদের মৃতদেহ দ্রুততম সময়ে দেশে আনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

জীবনের ঝুঁকি নিয়েও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীরা আফ্রিকার আটটি দেশে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখে চলেছে বলেও আইএসপিআর তাদের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে।

জাতিসংঘে শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশ শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে।


আরও খবর