Logo
শিরোনাম

মেধাবী ও দক্ষ পেশাজীবীদের আকৃষ্ট করতে চায় জাপান

প্রকাশিত:সোমবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | ৮৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মেধাবী কিংবা শীর্ষ পেশাজীবীদের আকৃষ্ট করতে চায় জাপান। এ লক্ষ্য পূরণে বেশকিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে জাপান সরকার। যেমন দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাপানে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হচ্ছে। এজন্য অভিবাসন নীতিতেও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। 

সম্প্রতি দক্ষ পেশাজীবীদের ভিসা দেয়ার জন্য পয়েন্টভিত্তিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে জাপান। এক্ষেত্রে ভিসাপ্রত্যাশীদের লেখাপড়ার ইতিহাস, কাজের অভিজ্ঞতা ও গবেষণাগত অর্জনকে প্রাধান্য দেয়া হয়। এসব ক্ষেত্রে মিলে গেলে ৩-১০ বছর পর স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পাওয়া যায়।

আগামী এপ্রিলে নতুন নিয়ম কার্যকর করা হলে এ সময়সীমা কমে আসবে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যে গবেষক বা প্রকৌশলীর বার্ষিক আয় অন্তত ২ কোটি ইয়েন এবং যাদের অন্তত ১০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা বা স্নাতক ডিগ্রি রয়েছে, তারা এক বছর পরেই স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পাবেন।

এসব বিদেশী নাগরিক আরো বেশকিছু সুযোগ-সুবিধা পাবেন। যেমন বিদেশ থেকে দুজন গৃহসহকারী নিতে পারবেন তারা। এতদিন একজন নেয়ার নিয়ম ছিল। তাদের স্বামী বা স্ত্রী পূর্ণকালীন কাজের সুযোগ পাবেন। এক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন ধরনের কাজের ক্ষেত্র বেছে নিতে পারবেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরের জানুয়ারি-জুন পর্যন্ত ৩ হাজার ২৭৫ জনকে অতিদক্ষ পেশাজীবী হিসেবে মনোনীত করেছে জাপান। যার মধ্যে ৭৮৩ জনই দেশটিতে নতুন গিয়েছেন।

সরকারের নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিশ্বের অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে পাস করা স্নাতকরা চাইলে দুই বছর জাপানে অবস্থান করে কাজ খুঁজে নিতে পারবেন। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী এ স্নাতকরা কাজ খোঁজার জন্য কেবল ৯০ দিন সময় পেয়ে থাকেন। এ স্কিমের আওতায় তারা পড়বেন, যারা ব্রিটিশ ও চীনসংশ্লিষ্ট পক্ষের করা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকার প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে পাস করেছেন। স্নাতক শেষ করার পাঁচ বছরের মধ্যে তারা এ সুযোগ নিতে পারবেন। এসব শিক্ষার্থী চাইলে পরিবারের সদস্যদেরও সঙ্গে নিতে পারবেন।

জাপানের অভিবাসন আইনজীবী কোজি ইয়ামাওয়াকি বলেন, ‌জাপানের মজুরি কাঠামো ইউরোপ বা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে কম। এটি অভিবাসী দক্ষ কর্মীদের আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ। টোকিওভিত্তিক মানবসম্পদবিষয়ক প্রতিষ্ঠান হিউম্যান রিসোসিয়া জানিয়েছে, জাপানে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ২০২২ সালে গড় মজুরি ছিল ৪০ হাজার ডলার, যা যুক্তরাষ্ট্রের গড় মজুরির অর্ধেক এবং জার্মানির গড় মজুরির মাত্র ৭০ শতাংশ। এছাড়া উচ্চশিক্ষিত ও শীর্ষ পর্যায়ের পেশাজীবীদের আকৃষ্ট করে, এমন ৩৫টি দেশের তালিকায় জাপানের অবস্থান ২৫তম। অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ২০১৯ সালের তালিকা অনুযায়ী যথাযথ কাজের সুযোগ ও পারিবারিক আবহের দিক থেকে পিছিয়ে জাপান।

বিশ্বের বেশির ভাগ দেশই এখন উদ্ভাবন ও আবিষ্কারকে প্রাধান্য দিচ্ছে। এ ধারাবাহিকতায় দেশগুলো খুঁজে নিচ্ছে বিভিন্ন দেশের মেধাবীদের। যার অংশ হতে চায় জাপানও। সেজন্য মেধা অন্বেষণ ও মেধাবীদের আকৃষ্ট করতেই দেশটির এতসব আয়োজন। এর আগে গত বছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকদের জন্য দুই বছরের হাই পটেনশিয়াল ইনডিভিজুয়াল ভিসা চালু করেছিল যুক্তরাজ্য। ২০২১ সালে সিঙ্গাপুর টেক পাস দিতে শুরু করে। এর আওতায় প্রযুক্তি খাতের কর্মী যারা মাসে অন্তত ২০ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার আয় করেন, তাদের জন্য দেশটিতে ব্যবসা করার সুযোগ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।

নিউজ ট্যাগ: জাপান

আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩