২০২১ সালের
ফেব্রুয়ারিতে সামরিক বাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর দেশটির ৫ কোটি ৪০ লাখ
মানুষের পরিস্থিতি খারাপ থেকে ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। এমন মন্তব্য করে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন
মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ।
সুইজারল্যান্ডের
জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে বলেন, ২০২১ সালে ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের
ফলে সৃষ্ট সংকটের আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ব্যর্থ হয়েছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীও
যৌন সহিংসতা, নির্যাতন, মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধ করে যাচ্ছে। বেসামরিক নাগরিকদের
বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে হত্যা করছে।
অ্যান্ড্রুজ
বুধবার কাউন্সিলে বক্তব্য রাখার আগের দিন মিয়ানমারের উত্তর-মধ্য সাগাইংয়ের একটি স্কুলে
হেলিকপ্টার নিয়ে হামলা চালায় সামরিক বাহিনী। এতে ১১ শিশু নিহত হয়। এই ঘটনায় সমালোচনার
ঝড় বয়ে যায় নানা মহলে।
এদিকে অভ্যুত্থানের
বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে জনগণ। এতে
নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন প্রায় ২ হাজার ৩০০ মানুষ। গত বছরের ফেব্রুয়ারি
থেকে আটকও হয়েছেন কয়েক হাজার নাগরিক। এদের মধ্যে রাজনৈতিক বন্দিও আছেন।
মিয়ানমারে চলমান
দমন-পীড়ন নিয়ে জাতিসংঘের দূত অ্যান্ড্রুজ মানবাধিকার কাউন্সিলকে আরও বলেন, আটকৃতদের
মধ্যে ২৯৫ শিশু বন্দি আছে। এছাড়া ৮৪ জন রাজনৈতিক বন্দিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি মিয়ানমার
বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা মংডুতে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে। তাদের দাবি, নিরাপত্তা
বাহিনীর চেক পোস্টে হামলা এবং পুলিশ হত্যার জেরে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরকান আর্মির অবস্থান
লক্ষ্য করে অভিযান চলছে।