নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে দুই সয়াবিন তেলের কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর । বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রুপগঞ্জের সিটি গ্রুপের তীর সয়াবিন তেলের মিল ও বাংলাদেশ এডিবয়েল মিলের রূপচাঁদা সয়াবিন মিলে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় সরকারি বিধি
অনুযায়ী মিল থেকে ডিলার বা পাইকারি ক্রেতাদের চালান রসিদের সঙ্গে ইউনিট মূল্য উল্লেখ
করে দেওয়ার নিয়ম থাকলে দুই মিলেই তা পাওয়া যায়নি। তবে দুই মিলেই পর্যাপ্ত সয়াবিন তেল
মজুত ও সরবরাহ স্বাভাবিক আছে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিদপ্তরের সদস্যরা।
ভোক্তা অধিকার
সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, পাইকারি বাজার থেকে বারবার
অভিযোগ করা হচ্ছে মিল গেট থেকে সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে বাজারে তেলের সংকট
হচ্ছে। কিন্তু মিলে এসে সেটি পাওয়া যায়নি। আসলে দাম কারা বাড়াচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দামের কারসাজি হচ্ছে কি না সে বিষয়টিও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। এভাবে পর্যায়ক্রমে সব মিলে
পরিদর্শন করা হবে।
তিনি আরও বলেন,
‘সিটি গ্রুপের
তীর এবং বাংলাদেশ এডিবয়েল মিলের রূপচাঁদা ব্র্যান্ড মিল পরিদর্শন করে দুই মিলে পর্যাপ্ত
পরিমাণ সয়াবিন তেল মজুত আছে আমরা দেখেছি। সেইসঙ্গে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের
সরবরাহ কাগজপত্রও দেখেছি স্বাভাবিক আছে। দুই মিলেই সরকারি ফরম আছে কিন্তু মানা হচ্ছে
না।
‘ক্রয়-বিক্রয়ের সময় অবশ্যই ইউনিট মূল্য চালানে উল্লেখ থাকতে হবে। সেটি কোনো মিলেই পাইনি। সরকারি নির্দেশনা মেনে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য দুই মিলকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে’ যোগ করেন পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।