Logo
শিরোনাম

নাসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ আগামীকাল

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | ১০৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আগামীকাল রবিবার (১৬ জানুয়ারি) উৎসবমুখর পরিবেশে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হবে।

ইতোমধ্যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে। এ জন্য নারায়ণগঞ্জে ২ হাজার ৯১২টি ইভিএম মেশিন আনা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রয়োজনের তুলনায় দেড়গুণ ইভিএম রাখা হবে। আজ শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনী সামগ্রী পৌছানো শুরু হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) রাত ১২টা থেকে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা শেষ হয়েছে। বহিরাগতদের নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করতে কমিশনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

নির্বাচনে সহিংসতা রোধে ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পেনাল কোডের অধীনে তারা মামলা নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচার কাজ পরিচালনা করতে পারবেন।

গত ৩০ নভেম্বর এই সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে কমিশন। নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, এরা হলেন- বাংলদেশ আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াত আইভী (নৌকা), খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা তৈমূর আলম খন্দকার (হাতি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে ২৭টি ওয়ার্ডের ১৯২টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৩৩৩ ভোটকক্ষে ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন ও সংরক্ষিত ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে রয়েছেন ৩৪ জন প্রার্থী।

নাসিক নির্বাচনকে ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ নির্বাচনে ১৯২টি ভোট কেন্দ্রে ও কেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৫ হাজারের বেশি সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। প্রতি কেন্দ্রে থাকবেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ২৬ সদস্য।

সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার জানান, নারায়ণগঞ্জে আলাদাভাবে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নেই, সবগুলো কেন্দ্রকেই বিশেষ বিবেচনায় রেখে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ১৯২টি ভোট কেন্দ্রের প্রতিটিতে একজন এসআইয়ের নেতৃতে থাকবেন পাঁচজন করে পুলিশ সদস্য। এছাড়াও আটজন পুরুষ ও চারজন নারী আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন।

তিনি বলেন, নাসিক নির্বাচনে পুলিশের ২৭টি ইউনিট স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে। এছাড়াও পুলিশের মোবাইল টিম থাকবে ৬৪টি, প্রতি টিমে সদস্য থাকবেন পাঁচজন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১৪ প্লাটুন সদস্য থাকবে। আরও অতিরিক্ত ৬ প্লাটুনের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক চাহিদা পাঠিয়েছেন বলেও জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা।

নাসিক নির্বাচনে র‌্যাবের স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে ৩টি, চেকপোস্ট থাকবে ৬টি, টহল টিম থাকবে ৭টি ও স্ট্যাটিক টিম থাকবে ২টি, জানান তিনি।

এদিকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ৯টি সংস্থার ৪২ পর্যবেক্ষককে অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সংস্থাগুলো হলো- জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ (জানিপপ), সার্ক মানবাধিক ফাউন্ডেশন, আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন, সমাজ উন্নয়ন প্রয়াস, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা, তালতলা যুব উন্নয়ন সংগঠন, রিহাফ ফাউন্ডেশন, বিবি আছিয়া ফাউন্ডেশন এবং মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা-মওসুস। তবে, পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করতে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা মানার পাশাপাশি এসব সংস্থাকে ভোট শেষ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের শর্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

নিউজ ট্যাগ: নারায়ণগঞ্জ

আরও খবর