Logo
শিরোনাম

নতুন গ্রাহক আকৃষ্টে দাম কমাবে চীনা চিপ নির্মাতারা

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | ৯৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আগামী বছর নতুন গ্রাহক আকৃষ্টে চিপের দাম কমাতে যাচ্ছে চীনের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এজন্য স্থানীয় চিপ নির্মাতা কোম্পানিগুলোকে বড় আকারের ভর্তুকি দিতে যাচ্ছে চীন সরকার। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় কোণঠাসা চিপ খাতের জন্য ১৪ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করতে যাচ্ছে বেইজিং। তাইওয়ানভিত্তিক চিপ নির্মাতা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে টেক্কা দিতে ২০২৩ সালে চিপের দাম কমাবে স্থানীয় কোম্পানিগুলো। স্থানীয় চিপ নির্মাতা কোম্পানিগুলোকে শক্তিশালী করতে ১ ট্রিলিয়ন ইউয়ানের প্যাকেজ হাতে নিয়েছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার।

করোনা মহামারী শুরুর পর বিশ্ববাজারে চিপের চাহিদা আকাশচুম্বী। স্মার্টফোন, পিসি থেকে শুরু করে গাড়িসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্যের গুরুত্বপূর্ণ এ অনুষঙ্গ নিয়ে বিভিন্ন দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা তীব্রতর হয়েছে। চীনের সংকট বহুমুখী। জাতীয় নিরাপত্তার কথা তুলে চীনে চিপ নির্মাণসামগ্রী ও প্রযুক্তি রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। একই পথ অনুসরণ করতে দেখা গেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপানের মতো মার্কিন মিত্রগুলোর।

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর কঠোর পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে বেইজিং। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়িত্ব নেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ডব্লিউটিওতে এটা প্রথম অভিযোগ দায়ের। অভিযোগে বলা হয়, ২ হাজার ৮০০ চীনা পণ্য রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অভিযোগ নিষ্পত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ৬০ দিন সময় দিয়েছে ডব্লিউটিও। তা না হলে মামলাটি রিভিউতে প্যানেল গঠনের অনুরোধ জানাতে পারবে চীন।

চিপ নির্মাণ খাতে স্বনির্ভর হওয়ার জন্য সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বেশ তোড়জোড় চালাচ্ছে চীন সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় দেয়া হচ্ছে ১ ট্রিলিয়ন ইউয়ানের প্যাকেজ। বিষয় সম্পর্কে অবগত দুটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকেই পরিকল্পনাটি কার্যকর হবে। চীনের ফ্যাব্রিকেশন প্ল্যান্ট বা ফ্যাবগুলো যাতে স্থানীয় সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি থেকে চিপ নির্মাণসামগ্রী ক্রয় করে, সেজন্য ভর্তুকি হিসেবে প্যাকেজের সিংহভাগ অর্থ ব্যয় হবে। তিনটি সূত্র বলছে, এ কোম্পানিগুলো চিপ নির্মাণসামগ্রী ক্রয়ে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি পাবে।

চীনের প্রণোদনা প্যাকেজের সুবিধা রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত ও ব্যক্তিমালিকানাধীন উভয় খাতই ঘরে তুলতে পারবে। সূত্রগুলো বলছে, ১ ট্রিলিয়ন ইউয়ান প্রণোদনায় ভাগ বসাতে যাচ্ছে নৌরা টেকনোলজি গ্রুপ, অ্যাডভান্সড মাইক্রো-ফ্যাব্রিকেশন ইকুইপমেন্ট ইনকরপোরেশন চায়না ও কিংসেমির মতো কোম্পানি। গত অক্টোবরে অনুষ্ঠিত কমিউনিস্ট পার্টি কংগ্রেসে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বড় অংশজুড়ে রয়েছে প্রযুক্তি খাতে স্বনির্ভরতা। ২০১৭ সালের কংগ্রেসের তুলনায় এবারের কংগ্রেস রিপোর্টে প্রযুক্তি শব্দ ব্যবহার হয়েছে ৪০ গুণ বেশি।

অত্যাধুনিক চিপ উৎপাদনে অন্যান্য অগ্রসর অর্থনীতি থেকে পিছিয়ে এশিয়ার শীর্ষ অর্থনীতির দেশটি। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানভিত্তিক কোম্পানির আধিপত্য এ খাতে। চিপ খাতে গুরুত্ব দিয়ে ২০ বছরে চীনে বেশ কয়েকটি স্থানীয় কোম্পানি চালু হয়েছে। কিন্তু উন্নত মানের চিপ উৎপাদনে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে বেশ পিছিয়ে চীনের চিপ নির্মাতা কোম্পানিগুলো। বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞায় কোণঠাসা হয়ে পড়ায় স্থানীয় চিপ নির্মাতা কোম্পানি শক্তিশালী করতে বড় অংকের প্রণোদনা প্যাকেজ হাতে নিচ্ছে বেইজিং। নতুন গ্রাহক আকৃষ্টে ২০২৩ সালে চিপের দাম কমাবে চীনভিত্তিক কোম্পানিগুলো।

নিউজ ট্যাগ: চিপ নির্মাতার

আরও খবর

কমেছে রোলেক্স ও প্যাটেক ফিলিপ ঘড়ির দাম

বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩