Logo
শিরোনাম
একজন শ ম রেজাউল করিম

অবহেলিত পিরোজপুর বদলে যাওয়া, বদলে দেওয়ার গল্প

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ১৮৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ফিরোজ মাহমুদ :

ছাত্রনেতা থেকে মন্ত্রিপরিষদে। দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী হিসেবে। এর আগে ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে। দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য হিসেবেও।

তার ব্যক্তিগত জীবন বদলে যাওয়ার গল্পটা অনেক দীর্ঘ হলেও পিরোজপুরকে বদলে দেয়ার গল্পটা অনেক গলিশীল। মাত্র তিন বছর আগেও পিরোজপুর-১ (সদর- নেছারাবাদ-নাজিরপুর) আসনের মানুষ রাস্তাঘাট ও পারিপাশ্বিক উন্নয়ন নিয়ে ভোগান্তিতে ছিল। বর্তমান সরকারের হাত ধরে দেশের প্রতিটি প্রান্তে যেভাবে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছিল, বিপরীতে পিরোজপুর-১ আসনের মানুষ ছিল হতাশাগ্রস্ত ও অবহেলিত। যখন অন্য অঞ্চলের ভাঙন-কবলিত এলাকায় শুরু হয়েছিল জিও ব্যাগ ও বেড়িবাঁধের কাজ। তখন নির্ঘুম রাত কাটাতো সন্ধ্যা, বলেশ্বর, বেলুয়া ও মধুমতি তীরের মানুষ। বিদ্যুতে বিদ্যুতে যখন আলোকিত হয়ে উঠতো পাশ্ববর্তী জেলাগুলো, তখন পিরোজপুর-১ আসনের অধিকাংশ এলাকার মানুষ নির্ভরশীল ছিল হারিকেনের আলো কিংবা সৌরবিদ্যুতের ওপর।

তিন বছর আগে বিপুল ভোটে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন শ ম রেজাউল করিম। একইসাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেন। এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় পিরোজপুর-১ আসনের তিন উপজেলার মানুষের দিনবদলের পালা। অবহেলিত এ জনগোষ্ঠীর স্বপ্নগুলো বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করে একে একে।

সত্যিই অবাক হওয়ার মতো, পিরোজপুরে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল অনুমোদন। পিরোজপুর সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ। বিসিক শিল্পনগরী স্থাপন ও টেক্সটাইল কলেজ স্থাপন। অত্যাধুনিক অডিটোরিয়াম ও উপজেলা কমপ্লেক্স স্থাপন। নেছারাবাদের সন্ধ্যা ও বেলুয়া নদীর ওপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন। গোপালগঞ্জ টু স্বরূপকাঠী চারলেন-বিশিষ্ট রাস্তা একনেকে অনুমোদন। স্বরূপকাঠি ও শ্রীরামকাঠীতে দুটি ফেরি এবং ইন্দেরহাটে ফায়ার সার্ভিস। টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল কলেজ এবং শ্রীরামকাঠী মহাবিদ্যালয় স্থাপন। অসংখ্য মসজিদ, মাদরাসা ও মন্দির সংস্কার এবং পুনর্নির্মাণ। নাজিরপুরে জাতির জনকের ম্যুরাল ও শহিদ মিনার নির্মাণ। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন নতুন ভবন নির্মাণ ও কলেজ ভবন নির্মাণ। শতভাগ বয়স্ক, বিধাব ও প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান। শতভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবন ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ। নাজিরপুরে বাসস্ট্যান্ড ও বাইপাস সড়ক নির্মাণ। তিনটি উপজেলায় কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ। পাশাপাশি কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণের কাজ চলছে পুরোদমে। ইতোমধ্যে অনেক কাজ সম্পন্নও হয়েছে। অথচ তিন বছর আগেও পিরোজপুর-১ আসনের তিনটি উপজেলার অধিকাংশ এলাকার বেহালদশায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তি ছিল স্থানীয়দের। উন্নয়নের এসব কর্মযজ্ঞে একবুক আশা তৈরি হয়েছে এ তিন উপজেলার জনগণের বুকে। এসব এলাকার মানুষের কৃতজ্ঞতা যেন এক-একটি হৃদয়ছোঁয়ার গল্প।

এছাড়া বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। বিদ্যুৎ পৌঁছে যাচ্ছে বিচ্ছিন্ন বিলাঞ্চলগুলোতে। আলোর ঝলকানিতে আলোকিত হতে শুরু করেছে অন্ধকারাচ্ছন্ন বিলাঞ্চল। এসব উন্নয়ন যেন স্বপ্ন নয়, স্বপ্নের চেয়েও অবাস্তবতা, যা বাস্তবে পরিণত হচ্ছে এ নেতার হাত ধরেই। সব মিলিয়ে তিনি বদলে দিয়েছেন তিন উপজেলায় চিত্র।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, এলাকার মানুষের ভালোবাসায় আমি কৃতজ্ঞ। তাদের ভালোবাসার কারণে বিপুল ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলাম। তাদের প্রত্যাশা পূরণে সবসময় কাজ করবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাকে মন্ত্রী করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত উন্নয়নমূলক কাজগুলো করে যাচ্ছি।


আরও খবর