Logo
শিরোনাম

ওবায়দুল কাদেরকে কটূক্তি : কাদের মির্জার অবস্থান কর্মসূচি চলছে

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১৮৮৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image
‘নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীকে বহিষ্কার এবং জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটি ভেঙে দিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে নেয়া না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের অবস্থান ধর্মঘট চলবে

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। ওবায়দুল কাদেরের ভাই ও বসুরহাট পৌরসভা মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে এ কর্মসূচি চলছে।

এর আগে শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা থেকে উপজেলার বসুরহাট বাজারের বঙ্গবন্ধু চত্বরে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীকে বহিষ্কার এবং জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটি ভেঙে দেয়ার দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়।

ফেসবুক লাইভে এসে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পদাক ওবায়দুল কাদেরকে রাজাকার ফ্যামেলির লোক বলে মন্তব্য করায় এ কর্মসূচির ডাক দেন আবদুল কাদের মির্জা।

তার ডাকে সাড়া দিয়ে কর্মসূচিতে শত শত দলীয় নেতাকর্মী জড়ো হন। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সকাল সাড়ে ৯টা) অবস্থান কর্মসূচি চলছিল।

বসুরহাট পৌরসভা মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বিক্ষোভ সমাবেশে বলেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীকে বহিষ্কার এবং জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটি ভেঙে দিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে নেয়া না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের অবস্থান ধর্মঘট চলবে।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে লাইভে ওবায়দুল কাদেরকে রাজাকার ফ্যামেলির লোক বলে মন্তব্য করেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী।

২৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ক্লিপে তিনি বলেন, দেশি মানুষ, স্লামালাইকুম। আমি কথা বললেতো মির্জা কাদেরের বিরুদ্ধে কথা বলব না। আমি কথা বলব ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে। একটা রাজাকার ফ্যামিলির লোক এই পর্যায়ে আসছে। তার ভাইকে শাসন করতে পারে না। এগুলো নিয়ে আমি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কথা বলব। আমার যদি জেলা কমিটি না আসে তাহলে আমি এটা নিয়ে শুরু করব।

তবে শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) তার ফেসবুক আইডি ঘুরে দেখা যায়, কোনো এক সময় তিনি লাইভ ভিডিওটি সরিয়ে ফেলেছেন। তবে তার আগেই ফেসবুকে তার বক্তব্যটি ভাইরাল হয়ে যায়।

পরে দুপুরের দিকে আরেকবার লাইভে এসে এমপি একরামুল করিম দাবি করেন, তিনি ওবায়দুল কাদেরকে কিছু বলেননি।

ওবায়দুল কাদেরকে একজন মুক্তিযোদ্ধা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যা বলতে চেয়েছি তা আবদুল কাদের মির্জাকে উদ্দেশ করে। কারণ কাদের মির্জার পরিবার মুক্তিযোদ্ধাবিরোধী ফ্যামিলি।

দলীয় নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়ে বিষয়টি সিনিয়র নেতাদের মাধ্যমে মীমাংসার অনুরোধও জানিয়েছেন নোয়াখালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী।


আরও খবর