২০০৯ সালে মুক্তি পায় ‘অ্যাভাটার’। দীর্ঘ ১৩ বছরের বিরতি নিয়ে এ বছর ডিসেম্বরে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে সিকুয়েল ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’। ২০০৯ থেকেই পরবর্তী অ্যাভাটার গল্পের জন্য দর্শকের পাশাপাশি অপেক্ষা করেছেন নির্মাতা জেমস ক্যামেরন। দীর্ঘ এক বছর সময় নিয়ে ‘অ্যাভাটার টু’ লিখেও ফেলেছিলেন। কিন্তু তাকে দিন শেষে আবর্জনার স্তূপে ফেলে দিয়েছেন ক্যামেরন। সেপ্টেম্বরেই সে খবর জানিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি টোটাল ফিল্ম ম্যাগাজিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তুলে ধরলেন সেই হারিয়ে যাওয়া সিকুয়েলের গল্প। ‘অ্যাভাটার: দ্য হাই গ্রাউন্ড’ নামে লেখা সে পাণ্ডুলিপি ছিল ১০০ পৃষ্ঠারও বেশি।
জেমস ক্যামেরন বলেন, একদল লেখকের সঙ্গে লিখতে বসেছিলাম। প্রচুর আইডিয়া ছিল হাতে। একটা ফ্রেমে রাখতে চেষ্টা করলাম, কিন্তু কেন যেন খাপ খাচ্ছিল না। এক সময় জেদ চেপে গেল প্রায়। মনে মনে বললাম, যেভাবে হোক শেষ করবই, দেখি সিনেমা হয় কিনা। তার পর সত্যিই শেষ হলো কাজ। খুব সম্ভবত ১৩০ পৃষ্ঠার মতো হয়েছিল। দুর্দান্ত গল্প, পড়তেও চমৎকার। তারপরও ‘অ্যাভাটার: দ্য হাই গ্রাউন্ড’-কে বাদ দিতে হলো। কারণ সিকুয়েল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় তাতে অনুপস্থিত। ঘটনাপ্রবাহের দিক থেকেও খুব বেশি অপ্রত্যাশিত কিছু ছিল না। অ্যাভাটার চরিত্রে কিছুটা কমতি ছিল। অথচ অ্যাভাটার আমাদের স্বপ্নের জগতের সঙ্গে যুক্ত করে, তার মাঝে থাকা আধ্যাত্মিক উপাদান ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। অন্য সবকিছুতে ঠিক হলেও এ জায়গার কমতি মানা যায় না।
‘অ্যাভাটার: দ্য হাই গ্রাউন্ড’ থেকে কিছু উপাদান নিয়েই পরবর্তী সময়ে দাঁড় করানো হয়েছে ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’। ১৯৯৪ সালের শুরুর দিকেই অ্যাভাটার নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন নির্মাতা জেমস ক্যামেরন। সে সময়ে ছিল ৮০ পৃষ্ঠার পাণ্ডুলিপি। ১৯৯৭ সালে টাইটানিক সিনেমা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাভাটারের কাজ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু সিনেমার দৃশ্যায়নের জন্য তখনো প্রযুক্তিগত উন্নয়ন হয়নি। অপেক্ষার পাশাপাশি ক্যামেরন ২০০৫ সালে না’ভির ভাষা নিয়ে কাজ করেন। ২০০৬ সাল থেকে শুরু করেন ফিকশনাল দুনিয়া তৈরির কাজ, ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যা সাড়া ফেলে বিশ্বজুড়ে। অ্যাভাটারের সিকুয়েল হিসেবে লেখা শতাধিক পৃষ্ঠার পাণ্ডুলিপিও তাই দর্শকের কৌতূহল জাগায়।