‘পদ্মা সেতুতে
মানুষের মাথা লাগবে’ বলে ডিজিটাল মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে রাজিব
হোসেন নামে এক যুবককে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন রাজশাহী বিভাগীয় সাইবার ক্রাইম
ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার দুপুরে
রাজশাহী বিভাগীয় সাইবার অপরাধ আদালতের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার
সময় রাজিব হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত রাজিব
হোসেন (২০) রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বড়গাছি হাজিপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
ট্রাইব্যুনালের
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ইসমত আরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগে জানা
গেছে, ২০২০ সালের অক্টোবরের প্রথমদিকে রাজিব হোসেন তার ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। তাতে
তিনি লেখেন- বাংলাদেশের পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ আটকে গেছে। এক লাখ মানুষের মাথা লাগবে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারা দেশে ৪১টি দল ছাড়া হয়েছে। তারা মানুষের মাথা সংগ্রহে
পথেঘাটে খেলার মাঠে হাটেবাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের কাছে আছে ধারাল ছুরি ও গ্যাস স্প্রে।
এই গ্যাস ১০-১৫ হাত দূর থেকে নিক্ষেপ করলে মানুষ অজ্ঞান হয়ে যাবে। আর তখন তারা মাথা
কেটে নেবে। এদের প্রধান লক্ষ্য নারী ও শিশুরা। ঘরে ঢুকেও তারা এ জঘন্যতম কাজ করছে।
আজও কেটে নিয়েছে অনেক মানুষের মাথা। তাই পুরো এলাকায় মাইকিং করে সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে রাজিবের
এই পোস্ট ভাইরাল হলে ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর দুর্গাপুর থানার এসআই শামীম সারোয়ার বাদী
হয়ে রাজিব হোসেনকে আসামি করে ডিজিটাল আইনে একটি মামলা দায়ের করেন থানায়। ওই দিনই গ্রেফতার
করা হয় রাজিবকে। পুলিশ তদন্ত শেষে রাজিবের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।